ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেকের প্রার্থীতা বাতিলের প্রজ্ঞাপন এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।এর ফলে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পেলেন এবং নির্বাচনে অংশ নিতে তার আর বাঁধা নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার হাইকোর্টের একই বেঞ্চে ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আব্দুল খালেকের প্রার্থিতা বাতিল কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না সেটি জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
আর এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য বুধবার দিন ঠিক করেন আদালত। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন আদালত।
আদালতে এদিন রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিরি সভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোঃ মোমতাজ উদ্দিন ফকির, অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক ও এমএস সাঈদ আহমেদ রাজা। তাদের সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার হারুনর রশিদ খান।
ইসির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম। অন্যদিকে আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজলের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফিদা এম কামাল, সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোঃ মুরাদ রেজা ও অ্যাডভোকেট এবিএম ইলিয়াস কচি।
এসময় নির্বাচন কমিশনের ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার ড. মোহাম্মদ ইয়াসিন খান উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ২ জুন ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে একাধিকবার নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আব্দুল খালেকের প্রার্থিতা বাতিল করেন নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের আদেশক্রমে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব (নির্বাচন প্রশাসন) মোঃ মিজানুর রহমান গত ২ জুন তার প্রার্থিতা বাতিল করেন।