ডাক্তার গোলাম জাকারিয়া তপন স্বস্ত্রীক করোনাভাইরাস পজিটিভ হওয়ায় তার মালিকানাধীন আলমডাঙ্গা শেফা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার লকডাউন করা হয়েছে।
সোমবার (৬ জুলাই) দুপুরে উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ ক্লিনিকটি লকডাউন করে দেয়। এতে প্রায় দশ দিন ধরে চলা আলোচনা-সমালোচনার অবসান হয়।
জানা গেছে, এর আগে থেকেই ডাক্তার গোলাম জাকারিয়া তপনের স্ত্রী মরিয়ম নেছা করোনার উপসর্গ নিয়ে বেশ কিছুদিন যাবৎ শেফা ক্লিনিকের বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বারেবার ক্লিনিকটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে তাগিদ দেওয়া হলেও ডাক্তার তপন দিতে অপারগতা প্রকাশ করে আসছিলেন। পরে ওই ডাক্তার পরিবারের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়। এতে ডাক্তার তপন স্বস্ত্রীক করোনা পজিটিভ আসে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাদি জিয়া উদ্দিন আহমেদ জানান, ডাক্তার গোলাম জাকারিয়া তপন ও তার স্ত্রীর করোনা রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
তিনি জানান, আগে থেকেই ডাক্তার তপনের পরিবারকে নমুনা দিতে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্ত তিনি সহযোগীতা করেননি। পরে তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তাদের মধ্যে ডাক্তার দম্পত্তির করোনা রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে। তারা তাদের মালিকানাধীন শেফা ক্লিনিকের ওপরে বসবাস করছিলেন। এ জন্য ক্লিনিকসহ বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে।
গিয়ে দেখা গেছে, রোগী-আত্মীয়স্বজনে সব সময় জমজমাট থাকা ক্লিনিকের ভেতরে ও বাহিরে সুনসান নিরবতা। করোনার খবর শুনে অবশিষ্ট রোগীরাও ক্লিনিক ছেড়ে পালিয়েছে।