মেহেরপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেনের ভাগ্নের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন, প্রকাশক এম এ এস ইমন ও সাবেক রিপোর্টার আল আমিন।
বুধবার দুপুরে খুলনা বিভাগীয় সাইবার অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক কনিকা বিশ্বাস ডিসচার্জের আদেশ দেন।
জানা গেছে, ২০২০ সালের ১১ মে মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকায় ‘গাংনীর সাবেক এমপি মকবুলের কান্ড; ২৬ বছর দখলে রেখেছেন পরের বাড়ি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে পত্রিকার সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন, প্রকাশক এম এ এস ইমন ও রিপোর্টার আল আমিনকে আসামি করে গাংনী থানায় দুই দিন পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন এমপি মকবুল হোসেনের ভাগ্নে সবুজ হোসেন।
মামলায় আসামিরা মেহেরপুরের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত থেকে জামিন নেন। পরবর্তিতে পুলিশ অভিযোগ দাখিল করলে মামলাটি ঢাকার সাইবার অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর হয়। পরে বিভাগীয় পর্যায়ে সাইবার অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদালত গঠন করা হলে মামলাটি খুলনা বিভাগীয় সাইবার অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। ওই আদালত থেকেও আসামিরা জামিন নেন। গতকাল বুধবার ২৩ ফেব্রুয়ারি মামলা চার্জ গঠনের শুনানী শেষে বিজ্ঞ বিচারক উভয় পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শোনেন এবং পর্যবেক্ষণ করে মামলাটি ডিসচার্জের আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন সাইবার অপরাধ ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর এম এম সাজ্জাদ আলী এবং আসামি পক্ষে আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন মিঠু চন্দ্র সাধক।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মিঠু চন্দ্র সাধক বলেন, আসামিরা একটি পত্রিকার সম্পাদক, প্রকাশক ও সাংবাদিক। সমাজের অন্যায়, দুর্নীতি তুলে ধরায় সাংবাদিকের কাজ। সে অধিকার সাংবাদিকদেও রয়েছে। স্বাধীন সংবাদ মাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার জন্য হয়রানীমূলক এ মামলা দায়ের করা হয়েছিলো। এ ধারা চলতে থাকলে সমাজে অন্যায়, দুর্নীতির প্রবণতা বেড়ে যাবে। বাড়ির মালিক বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও বাড়িটি সাবেক এমপি মকবুল হোসেনের কাছে থেকে ছাড়াতে পারেননি। তারপরেই বাড়িটি দখল নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে মেহেরপুর প্রতিদিন। মেহেরপুর প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশ করার পর বিষয়টি জানাজানি হলে তিন মাস পর তিনি ওই বাড়িটি ছেড়ে দেন। পরিত্যক্ত ওই বাড়িটি ৭লাখ টাকা খরচ করে সংস্কার করেছেন বাড়ির মালিক জিনারুল ইসলাম। এ অবস্থায় হয়রানীমূলক মামলা থেকে আসামিরা অব্যাহতি পাওয়ার দাবি রাখে। বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করা হলে বিজ্ঞ বিচারক মামলা উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শোনেন এবং মামলার নথি পর্যবেক্ষণ করে ডিসচার্জের আদেশ দেন।
যে সংবাদ প্রকাশ করার কারণে মামলা হয়েছিলো। সেই সংবাদটি পড়তে ক্লিক করুন গাংনীর-সাবেক-এমপি-মকবুলে