কক্সবাজার জেলাধীন উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ বিভিন্ন ক্যাম্পের ১৩ রোহিঙ্গা নারী ঢাকার বাড্ডা থানা পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। আটককৃত রোহিঙ্গা নারীদের বুধবার সকালে উখিয়া থানা পুলিশের নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছে বলে বাড্ডা থানা পুলিশের এসআই মো. ফেরদৌস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাড্ডা থানা ও উখিয়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নারী ও শিশু পাচার সিন্ডিকেটের সদস্যরা অল্প খরচে বিদেশ পাঠানো, উন্নত জীবন যাপন, বিয়ে ও বেশি টাকা আয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদেরকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহর ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনাসহ বিভিন্ন পতিতালয়ে সরবরাহ করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এরই ধারাবাহিকতায় ২৬ জানুয়ারী ঢাকা বাড্ডা থানা এলাকায় র্যাব ৩, অভিযান চালিয়ে উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পের ১৩ রোহিঙ্গা নারীকে আটক করে বাড্ডা থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করে।
সূত্র মতে, আরো জানা গেছে, ২৭ জানুয়ারী বাড্ডা থানা পুলিশ বাদী হয়ে আটককৃতদের তথ্যমতে কথিত পাচারকারী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে আটককৃতদের ঢাকা মহানগর আদালতে হাজির করলে আদালত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌছে দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। আটককৃতরা হলেন- কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি ব্লকের বাসিন্দা মোঃ রশিদের মেয়ে ছমিরা (১৯), শফিউল্লাহ কাটা ক্যাম্পের জি ব্লকের বাসিন্দা আবুল বশরের মেয়ে কানিজ ফাতেমা (১৬), কুতুপালং ক্যাম্পের মকসুদ আহম্মদের দুই মেয়ে জমিলা (১৭),ও তছলিমা (১৮), কুতুপালং ক্যাম্প ১৩ এর বাসিন্দা মৃত মোঃ হাসানের মেয়ে নুর বেগম (১৭), কুতুপালং ক্যাম্প ১১ এর বাসিন্দা মৃত কালা মিয়ার মেয়ে নুর হাকিম (১৮), উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের কাটির মাথা নামক গ্রামের সাবের হোসনের মেয়ে সাহিদা (১৭), বালুখালী ক্যাম্পের বাসিন্দা আব্দুল গণির মেয়ে হারেছা বেগম (১৬), কুতুপালং ক্যাম্প ৭ এর বাসিন্দা মোঃ আমান উল্লাহর ছেলে সানজিদা (১৯), কুতুপালং ক্যাম্পের রশিদ আহম্মদের মেয়ে আছমা (২২), থাইংখালী তাজনিমারখোলা ক্যাম্পের বাসিন্দা মৃত জাকির আহম্মদের মেয়ে আয়েশা (১৮), টেকনাফ পুরান বাজার এলাকার অছিউর রহমানের ছেলে কবির আহম্মদ (৪০),হ্নীলা নয়াপাড়া ক্যাম্পের নুরুল ইসলামের ছেলে মোঃ ইমরান (২৮)।
উখিয়া থানার ওসি আবুল মনসুর রোহিঙ্গা আটক ও ক্যাম্পে হস্তান্তরের সত্যতা স্বীকার করেন।
আরো পড়ুন-দেশের মর্যাদা বাড়াবে ই-পাসপোর্ট