করোনা সংক্রমণের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে সশরীরে ক্লাস শুরু হবে। তার আগে ১০ অক্টোবর থেকে সব বর্ষের শিক্ষার্থীর জন্য হল খুলে দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মিহির লাল সাহা যুগান্তরকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির জরুরি সভায় ১০ অক্টোবর থেকে সব বর্ষের শিক্ষার্থীর জন্য হল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
ঢাবির জনসংযোগ দপ্তর পরিচালক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষ, ২য় বর্ষ এবং ৩য় বর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থীরা আগামী ১০ অক্টোবর থেকে নিজ নিজ হলে উঠতে পারবে। উল্লিখিত বর্ষের যেসব শিক্ষার্থী অন্তত ‘কোভিড-১৯’ এর প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে, তারা স্বাস্থ্যবিধি এবং স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) অনুসরণ করে টিকা গ্রহণের কার্ড/সনদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ পরিচয়পত্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেখিয়ে নিজ নিজ হলে সকাল ৮টা থেকে প্রবেশ করতে পারবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে আজ (মঙ্গলবার) অনুষ্ঠিত প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, বিভিন্ন হোস্টেলের ওয়ার্ডেন এবং প্রক্টর উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, শিক্ষার্থীদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) প্রাপ্তির জন্য আগামী ৭ অক্টোবর থেকে টিএসসিতে ভোটার রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে সভায় জানানো হয়। যেসব শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তারা এই কেন্দ্র থেকে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে দ্রুত এনআইডি করতে পারবে। সব বর্ষের শিক্ষার্থীকে শতভাগ টিকার আওতায় এনে অতিদ্রুত সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে সভায় আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।