ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল মঙ্গলবার দুপুরে প্রকাশ করা হয়। এতে ১২০ নম্বরের মধ্যে ১০০ দশমিক ৫ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান দখল করেন ঢাকার ডেমরার দারুন্নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে উত্তীর্ণ মো. জাকারিয়া।
ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার পর বিভিন্ন কোচিং সেন্টার থেকে তাকে ছাত্র হিসেবে দাবি করা হয়। এ নিয়ে বিব্রত হতে হয়েছে জাকারিয়াকে। এমনকি একটি কোচিং সেন্টারের ছাত্র হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ায় তাকে শারীরিকভাবে আঘাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন এ মেধাবী ছাত্র।
হেনস্তার অভিযোগ ওঠা সেই কোচিং সেন্টারের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। তবে জাকারিয়াকে নিজেদের কোচিংয়ের শিক্ষার্থী দাবি করার বিষয়টি ভুলক্রমে হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
জাকারিয়া বিকালে এক ফেসবুক পোস্টে জানান, তিনি যে কোচিং সেন্টারে কোচিং করেছিলেন, সেখানে গেলে অন্য একটি কোচিং সেন্টারের লোকজন তার ওপর হামলে পড়ে।
জাকারিয়া একটি গণমাধ্যমকে বলেন, আমি ফোকাসেই কোচিং করেছিলাম। তাৎক্ষণিক সংবর্ধনা ও লাইভ অনুষ্ঠানে প্রতিক্রিয়া জানাতে আমি বিকালে ফোকাসের অফিসে আসি। যেই মাত্র লাইভ শুরু করব, তখন কিছু লোক জোর করে রুমে ঢুকে আমাকে বের করে নিয়ে আসার চেষ্টা করে। তারা আমাকে আইকন প্লাসে কোচিং করেছি স্বীকৃতি দিতে বাধ্য করার চেষ্টা করে। আমি অস্বীকার করলে তারা আমাকে হুমকি-ধমকি ও থাপ্পড় মেরে চলে যায়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আইকন প্লাস কোচিং সেন্টারের পরিচালক কামাল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ওখানে আমি ছিলাম। বিষয়টা হল ফার্মগেট বিটিআই ভবনের ছয় তলায় আমাদের অফিস, আর দুই তলায় ফোকাসের অফিস।
‘বিকালে আমরা অফিস থেকে নামার সময় দেখি ওখানে অনেক মানুষের ভিড়। পরে ওখানে গিয়ে দেখি তারা ভেতরে মিটিং করছে, আর স্থানীয় কিছু পোলাপান হৈ-হুল্লোড় করতেছে। পরে আমি সেখান থেকে চলে আসি।’
থাপ্পড়ের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, এধরনের অভিযোগ করতেই পারে। এর সত্যতা আমার জানা নেই।
এদিকে ‘খ’ ইউনিটের ফল প্রকাশের পর আইকন প্লাস যাত্রাবাড়ী শাখার পরিচালক মোহাম্মদ লিমন এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে দাবি করেন, প্রথম স্থান অর্জন করা শিক্ষার্থী তাদের ওখানে কোচিং করেছে।
পরে জাকারিয়া তার ফেসবুকে বিষয়টি শেয়ার করে লেখেন, হুদাই। আমি একটা ফ্রি ক্লাস করছিলাম। তখন ওরা পরীক্ষা নিছিল। ওখানে ফার্স্ট হইছিলাম। ফ্রি ক্লাস করলেই কোচিংয়ের ছাত্র হয় এটা জানতাম না।
এবিষয়ে আইকন প্লাসের কামাল বলেন, ওটা আসলে খুবই দুঃখজনক এবং দুর্ভাগ্যজনক, আমাদের একজন পরিচালক এটা দাবি করেছিল। কিন্তু আমরা আইকন প্লাসের মূল পেইজ থেকে এটা দাবি করিনি।
তিনি বলেন, আমাদের ভর্তি কোচিং শুরুর আগে আমরা একটা সেশন করেছিলাম, সেখানে সে একদিন ফার্স্ট হয়েছিল এবং পুরস্কার পেয়েছিল। শাখা পরিচালকরা এটা শেয়ার করেছিল। আমরা বলেছি, ওই শিক্ষার্থী যদি স্বীকৃতি না দেয়, তাহলে যেন ফেসবুক পোস্ট ডিলিট করে দেওয়া হয়।