ঈদে মুক্তি পাওয়া তিন ছবি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনায় সরব ঢালিউডপাড়া। চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মাঝে সেসব সিনেমা নিয়ে চলছে বিশ্লেষণ।
এরইমধ্যে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন জানিয়ে সব খবরকেই ম্লান করে আলোচনায় এসেছেন চিত্রনায়িকা দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। সোশ্যাল মিডিয়ায় অবশ্য সারা বছরই আলোচনায় থাকেন এ নায়িকা। বিশেষ করে তার বয়স নিয়ে বিস্তর মন্তব্য লেখালেখি হয়।
কীভাবে ৪১ বছর বয়সেও এখনও রূপে অনন্য পূর্ণিমা, তা নিয়েই চলে যত জল্পনা। ‘তিন প্রজন্মের ক্রাশ’ বলা হয় তাকে।
পূর্ণিমার আপলোড করা ছবিগুলো প্রায়ই এমন মন্তব্য দেখা যায়, আপনি ‘বুড়ি’ হবেন কবে?, আমাদের বাবা-চাচাদের ক্রাশ ছিলেন আপনি, এখন আমাদের, পরবর্তী প্রজন্মেরও ক্রাশ হয়ে থাকবেন।
কেউ লিখেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ে , তেলের দাম বাড়ে, গাড়ি ভাড়া বাড়ে। শুধু পূর্ণিমার বয়স বাড়ে না৷
এ বিষয়ে অভিনয় জীবনের ২০ বছর পূর্তিতে গণমাধ্যমে কথা বলেছিলেন পূর্ণিমা। এ নায়িকার বিয়ের খবরে সে সাক্ষাৎকারটি ফের সামনে এসেছে।
সেখানে এ ঢালিউড ডিভা বলেন, ‘ফেসবুকে অনেকে বাজে কমেন্ট করা শুরু করে। আমি কবে বুড়ি হব, কবে আমার বয়স হবে, মানে আমাকে হয় বুড়ি দেখার জন্যই দর্শকেরা খুব মুখিয়ে আছে। আমি বুড়ি হয়ে গেলে তখন তো তোমরা ক্রাশটা লিখতে পারবা না। আর মানুষ বয়সের সঙ্গে বুড়ি হবেই। তোমাদেরও মা আছে, বোন আছে, সবাই বয়সের সঙ্গে বুড়ি হবে।’
এরপর পূর্ণিমা বলেন, ‘এত অস্থির কেন আমাকে বুড়ি দেখানোর জন্য? তোমরা অ্যাপ্রিশিয়েট করো। হ্যাঁ, আমি এখনও পর্যন্ত আছি, ভালোভাবে কাজ করছি এবং তোমাদের ভালো ভালো কাজ দিতে পারছি। সেটা অ্যাপ্রিশিয়েট করো। কে বুড়ি হলো, কার বয়স কী, কে কোথায় চলে যাচ্ছে, বদনামগুলো করো না।’
প্রসঙ্গত, হুট করেই দ্বিতীয় বিয়ের খবর জানালেন পূর্ণিমা। তার নতুন স্বামী ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার ছেলে আশফাকুর রহমান রবিন। এটি পূর্ণিমার দ্বিতীয় বিয়ে। ২০০৭ সালে আহমেদ ফাহাদ জামাল নামে চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেন তিনি। তাদের সংসারে আরশিয়া উমাইজা নামে একটি কন্যা সন্তান হয়। তিন বছর আগে ফাহাদের সঙ্গে পূর্ণিমার ডিভোর্স হয়। উমাইজা বর্তমানে তার মা পূর্ণিমার সঙ্গেই রয়েছে।