তীব্র শীতেও থেমে নেই কৃষকের সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন আগের মতই কর্মক্ষেত্র। সূর্যের আলো আর একটু বেলা গড়ালে রোদের পরশ না পেলেও কুয়াশা ঢাকা সকালেই বেরিয়ে পড়ছে নিজ ক্ষেতে খামারের কাজের উদ্দেশ্য। কেউ বা চাদর, কেউ বা মোটা ভারি শীত নিয়ন্ত্রণ করার পোশাক পরেই ছুটে ছলছে গন্তব্য স্থানে।তবে জুটছে না অনেক কৃষকের গায়ে মোটা কাপড়ের শীত নিয়ন্ত্রণ করার পোশাক।
এমন একজন কৃষক আলমগীর হোসেন জানান, আজ চারদিন ধরে কখন সকাল কখন যে দুপুর বোঝার উপায় নেই। এই সকালে যখন সবাই ল্যাপ কাথা মুড়ে দিয়ে শান্তির ঘুমে মগ্ন তখন আমরা কৃষক ফসলের ফলনশীলতার কথা ভেবে ছুটে আসি নিজ নিজ ক্ষেতে ক্ষামারের কাজে। আমার তো এত শীত নিয়ন্ত্রণ করার মত মোটা পোশাক ও নেই তবে সমস্যা হয় না এসে কাজ শুরু করলে গরম লেগে যায়।আমরা গরীব কৃষক ভাই আমাদের কস্টের মূল্য ডা কোথায় এসব কোন ব্যাপার না।
এ দিকে কামরুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানতে পারি এত শীত যা শরীর শক্ত হয়ে যায় তবুও কাজ করতে বের হতে হচ্ছে। কারন বাড়ির খরচ নির্ভর করে এই আবাদের উপর যদি এই আবাদ ভালো ভাবে না করতে পারি ক্ষেতে কে দিবে।
ঠান্ডা ভাত খেয়েও অনেকের শুরু হচ্ছে কাজের সূচনা। তবে কৃষি প্রধান দেশ বাংলাদেশ এ দেশের আর্থিক অবস্থা এক তৃতীয়াংশ নির্ভর করে কৃষির উপর যার সম্পূর্ন টাই টিকিয়ে রেখেছে গ্রাম বাংলার এই সকল সংগ্রামী কৃষকেরা।তাদেরও ইচ্ছে করে এই কঠিন শীতে সকাল টা লেপ বা কম্বলের ভীতর শান্তি তে কাটিয়ে দিতে তা না করে ছুটে চলে কর্মে।তাদের এমন আত্মা ত্যাগেও কতন মনে রাখে? এমন প্রশ্নই করেছে অনেক কৃষক।
তবে জানিয়েছেন অনেক কৃষক এমন শীত ও অতিরিক্ত কুয়াশার কারনে ধানের চারা কটাশে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি এমন ভাবে চলতে থাকলে চারা পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকবে। তবে এটা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই সকল ভোরে এসে লাঠি দিয়ে চারার গায়ে থেকে কুয়াশা ফেলায় ব্যাস্ত।
এ বিষয়ে আবহাওয়া অফিসের কাছে থেকে জানা গেছে এমনটা চলবে মিনিমাম ৭ দিন তবে আস্তে আস্তে স্বাভাবিকের দিকেই ফিরবে বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয় কৃষক আলমগীর হোসেন আরো জানান, অসহায় গরীব অনেক কৃষক আছেন যারা একটা শীতের মোটা ভারি পোষাক কিনতেও পারছে না। তাদের দেওয়ার মত কেউ নেই।আমি চাই আমাদের গরীব দুঃখী কৃষকের পাশে কেউ থাকুক।একটু মূল্যায়ন করা হোক।