মেহেরপুর সদর উপজেলার দরবেশপুর গ্রামের জোড়া খুনের ঘটনায় রনি আলম নামের আরও এক আসামী স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো: শাহিন রেজা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে মেহেরপুর জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
এর আগে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মেহেরপুর সদর থানার এস আই আহসান হাবিব গত শনিবার দিবাগত রাতে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া এলাকা থেকে তাকে আটক করে। আটক রনি আলম চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা থানার কলাবারি রামনগর হঠাৎ পাড়ার শহর আলীর ছেলে।
এ নিয়ে জোড়া খুন মামলায় মোট ৬ জন আসামিকে আটক দেখানো হয়।
দরবেশপুর গ্রামের রোকন বিশ্বাস ও হাসান বিশ্বাস খুন মামলায় এর আগে আব্দুল হাকিম ও আবুল কালাম আজাদ কালু নামের দুই আসামী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার বাকি আসামীরা হলেন আব্দুস সালাম, তারাচাঁদ ফকির ও মামলত হোসেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আহসান হাবিব জানান, রনি আলম নামের একজনসহ আমরা এ পর্যন্ত ৬ জনকে আটক করেছি। ৬ জনের মধ্যে ৩ জন হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, মামলার তদন্ত কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১১ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে দরবেশপুর গ্রামের শোলমারী বিলে মাছ পাহারা দেওয়ার সময় যুবলীগ নেতা রোকনুজ্জামান বিশ্বাস ও তার চাচাতো ভাই হাসান বিশ্বাস নামের দুই জনকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পর দিন মেহেরপুর সদর থানায় রোকনুজ্জামানের স্ত্রী আলেয়া খাতুন বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিজস্ব প্রতিনিধি