জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, দুগ্ধ ও মাংস উৎপাদনের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে তার উদ্দেশ্য হচ্ছে অস্বচ্ছল দরিদ্র মানুষকে স্বচ্ছল করা।
এটি সর্বপ্রথম যশোর মনিরামপুর উপজেলা এবং মেহেরপুর সদর উপজেলায় শুরু হয়েছে। এটি পর্যায়ক্রমে আমরা সারা বাংলাদেশ ছড়িয়ে দেবো। এটি একটি চমৎকার প্রকল্প। এই জনগোষ্ঠী অবশ্যই এই প্রকল্প থেকে লাভবান হবে।
করোনার প্রার্দুভাব বাড়ছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনার সংক্রমণ রোধে নতুন করে কোনও বিধিনিষেধ দেওয়া হবে না। টিকা নিলে এবং মাস্ক পরলে করোনার চতুর্থ ঢেউ মোকাবিলা সম্ভব। করোনার সংক্রমণ বাড়া ও কমার মধ্যে আছে। আমাদের একটা সুবিধা হচ্ছে ব্যাপকভাবে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর সুফল দেশের মানুষ পাচ্ছেন। এখন করোনায় আক্রান্ত হলেও অনেকে টের পাচ্ছেন না। বড় চ্যালেঞ্জ নিতে হচ্ছে না। মৃত্যুর সংখ্যাও কম।
অতীতের মতো সমস্যায় পড়তে হবে না। তবে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানলে এবং মাস্ক পরলে এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারবো আমরা। সেইসঙ্গে সবাইকে টিকা নিতে হবে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় মেহেরপুর সদর উপজেলার হরিরামপুর গ্রামে সমবায় অধিদপ্তরের উদ্যোগে গাভি পালন কর্মসূচি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মৃধা মোহাম্মদ মোজাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান রিপন, জেলা সমবায় কর্মকর্তা প্রভাস চন্দ্র বালা, সমবায় অফিসের সহকারী প্রশিক্ষক রোকনুজ্জামান তুষার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সদর উপজেলার হরিরামপুর গ্রামে জেলা সমবায় অধিদপ্তরের উদ্যোগে দুগ্ধ ও মাংস উৎপাদনের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। সদর উপজেলায় ৪০০ জন উপকারভোগী পরিবারকে গাভি পালনের জন্য এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা করে বিতরণ করা হয়।