দর্শনা থানাধীন বেগমপুর বিলপাড়ায় কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই শশুরবাড়িতে এসে বিয়ের আধঘন্টার মাথায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করেছে নববধূ। মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে ওপরদৃষ্টির কথা বলা হলেও অনেকেই ধারণা করছেন মনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেয়ায় এঘটনা ঘটিয়েছে আনছারবাড়িয়া স্টেশন পাড়ার রাফি খাতুন। মেয়েপক্ষের কোন অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনকার্য সম্পন্ন করেছে মেয়ের পরিবারের লোকজন।
জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের বেগমপুর বিলপাড়ার মুনছুর আহম্মেদ ওরফে পণ্ডিত খাঁ’র ছেলে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ খান (২৫) ঈদের আগে ছুটিতে বাড়িতে আসেন। পারিবারিকভাবে দেখাশুনা করে ঈদের দিন রাত সাড়ে ১১টার দিয়ে বিয়ে করে আনেন জীবননগর উপজেলার আনছারবাড়িয়া স্টেশন পাড়ার স্বপন মিয়ের মেয়ে রাফি খাতুনকে (১৮)। ভাবিকে সাথে নিয়ে নববধূ হিসাবে স্বামীর বাড়িতে আসে রাফি।
রাত ১২টার দিকে বিয়ের পোষাক পরিবর্তন করার জন্য একটি রুমে যায় সে। রুম থেকে তার বের হতে তার দেরি দেখে বাড়ির লোকজন জানালা দিয়ে উঁকি মেরে দেখে রাফি গলাই ওড়না দিয়ে ফেনের সাথে ঝুলছে।
এদৃশ্য দেখে রাশেদের বাড়ির লোকজন রাফিদের বাড়িতে খবর পাঠায় এবং রুমের দরজা ভেঙ্গে প্রায় মৃত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। তখনও রাফি নড়াচড়া করছিলো।
আহত অবস্থায় জীবননগর হাসপাতালে নেবার পথে পেয়ারাতলা নামক স্থানে পৌছালে তার মৃত্যু হয়। মেয়েপক্ষের কোন অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই গত বৃহস্পতিবার নিজ গ্রামে লাশের দাফনকার্য সম্পন্ন করে পরিবারের লোকজন।
মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে মেয়ের ওপরদৃষ্টির কারণে সে এমনটি ঘটিয়েছে বলে বলা হলেও অনেকেই ধারনা করছেন, রাফির ইচ্ছার বিরুদ্ধে তারা মা-বাবা বিয়ে দেয়ায় সে আত্নহত্যার পথ বেঁচে নেয়।