চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানাধীন বড়বলদিয়া গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের আঘাতে শফিকুল ইসলাম (৪০) নিহত হয়েছে।
এ বিষয়ে নিহত’র বড় ভাই বাদি হয়ে তার চাচা কালাম ও কালামের জমাই সুলতানসহ ৭ জনকে আসামি করে দর্শনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। নিহত শফিকুল বড়বলদিয়া গ্রামের মাঝ পাড়ার মৃতঃ শুকুর আলীর ছেলে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের বড়বলদিয়া গ্রামের মৃতঃ শুকুর আলীর ৪ ছেলে বিল্লাল, বিশারত, জালাল, শফিকুল যৌথ ভাবে একই গ্রামের বগার কাছ থেকে ৬ কাঠা জমি ক্রয় করে। কিন্তু সেই জমি ছিলো নিহত শফিকুলের চাচা কালামের দখলে। তবে এই জমি একাধিকবার দখল চেয়ে তার সুরাহা না হলেও গতকাল তা সমাধানের একপর্যায়ে চলে এসেছিলো। আগামী চৈত্র মাসেই জমির দখল দিতে রাজি হয় কালাম, এদিকে শফিকুল ও তার বড় ভাই বিল্লাল এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে বাড়িতে চলেও যাচ্ছিলো কিন্তু স্ত্রী মেগি বেগমসহ তার মেয়ে তাজেরা, শাহানাজ ও সুলতানের মেয়ে তানিয়া হঠাৎ চেচিয়ে উঠে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।
এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। তারই এক পর্যায়ে মৃতঃ আমির হোসেনের ছেলে কালাম (৫৮) ও তার জামাই সুলতান পিতা- সাত্তার আলী পাশে পড়ে থাকা বাশ ও কাঠ দিয়ে আঘাত করে শফিকুল ও তার বড় ভাই বিল্লাল (৪৮) কে। এই আঘাতে বিল্লাল আহত হলেও গুরুতর ভাবে রক্তাক্ত জখম হয়ে মাটিতে পড়ে যায় শফিকুল। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
কিন্তু এ ঘটনায় কোন আসামি আটক হয়নি, কারণ ঘটনার পর থেকেই তাদের পরিবারের সকলে পলাতক। এ ঘটনায় দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাব্বুর রহমান কাজল জানান, মূলত জমিজায়গা নিয়ে বিরোধ এবং তারই এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের আঘাতে শফিকুল ইসলাম নিহত হয়েছে। আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কিন্তু তার আগেই আসামিরা পালিয়ে যায়। আমরা লাশ ময়না তদন্ত করার জন্য চুয়াডাঙ্গা মর্গে পাঠিয়েছি। আর নিহত শফিকুলের বড় ভাই আহত বিল্লাল হোসেন বাদি হয়ে ৭ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। আসামিদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।