দর্শনা রেলগেট সংলগ্ন মুক্তি ক্লিনিকে আনাড়ি ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রের মুত হয়েছে। ঝামেলা এড়াতে নানা কৌশলে বাদি পক্ষের সাথে আপোষরফা করে নিয়েছে ক্লিনিক মালিক। অনেকেরই প্রশ্ন চিকৎিসার নামে এসব কসাই খানাতে আর কত প্রাণ ঝরবে।
জানাগেছে, দর্শনা পৌর এলাকার পরানপুর গ্রামের রিফজি কোলনি পাড়ার আনোয়ার হোসেন ড্রাইভারের ছেলে দর্শনা পুরাতন বাজার দারুল উলুম কিন্ডার গার্ডেন মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র আমিনুল ইসলামের (৮) পেটে যন্ত্রনা শুরু হলে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে দর্শনা রেলগেট সংলগ্ন মুক্তি ক্লিনিকে নিয়ে যায়।
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সেলিনা আক্তার সীমু আমিনুলের এ্যাপেন্ডিস হয়েছে অপারেশন করতে হবে। ডাক্তারে কথায় বিশ্বাস স্থাপন করে পরিবারের লোকজন তাতে সন্মতি দেয়।
অভিযোগ উঠেছে আনাড়ি ডাক্তার এ্যাপেন্ডিস অপারেশনের পর রোগির অবস্থার অবনতি দেখা দিলে চিকিৎসক কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন। রাত ৩টার দিকে হাসপাতালে পৌছালে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
আমিনুলের লাশ নিজবাড়ি পৌছুলে গ্রামবাসি ক্লিনিকের উপর চড়াও হয়। একপর্যায় দর্শনা থানাপুলিশ লাশ উর্দ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য থানাতে নেয়। সূত্র জানিয়েছে বাদি পক্ষের সাথে ক্লিনিক মালিক কৌশলে ঝামেলা এড়াতে আপোষ মিমাংসা করে নেয়। ফলে ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশের দাফন সম্পন্ন হয়। এলাকাবাসির অভিযোগ চিকিৎসার নামে এসব কসাই খানাতে আর কত প্রাণ ঝরবে।
বিষয়টি তদন্তপূর্বক ক্লিনিক মালিকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসি।