দর্শনার ঈশ্বরচন্দ্রপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পিতাকে কটুক্তি করায় ছুরি দিয়ে আঘাত করে শহিদুল নামের একজনকে হত্যা করে পালিয়েছে অভিযুক্ত সুজন। এ ঘটনায় আরও ৪ জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে নেয়া হয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। ঘটনাস্থল পরির্দন করেছে পুলিশের কর্মকর্তারা। ঘটনার সাথে জড়িত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে না পারলেও গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। নিহত শহিদুলের লাশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল।
প্রত্যক্ষদর্শিদের কাছ থেকে জানা গেছে, শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে দর্শনা পৌর শহরের ঈশ্বরচন্দ্রপুর বড় মসজিদপাড়ার আসানুল ইসলামের ছেলে জাকির হোসেন (১৯) ও একই পাড়ার আমজাদ আলীর ছেলে সুজনের মধ্যে পাপড় ভাজা খাওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটে বাক-বিতন্ডার ঘটনা। এর এক পর্যায়ে সুজনের বাবাকে গলা ছিলা ও কান কালা বলে কটাক্ষ করে জাকির। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সুজন দৌড়ে বাড়ি থেকে তার বাবাসহ কয়েকজন ধারালো ছুরি এনে হানা দেয় জাকিরের উপর।
এ সময় জাকিরের চাচা একই পাড়ার শহিদুল ইসলাম ঠেকাতে আসলে তার বুকে স্বজোরে ছুরিকাঘাত করে সুজন। সুজনের ছুরিকাঘাতে আরও রক্তাক্ত জখম হন শহিদুলের ছেলে ইলফাজ (২২), ফরিদ (৩৫) ও জাকির (২০)। আহতদের মধ্যে শহিদুলকে মূমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল ৩ টার দিকে মারা যান শহিদুল ইসলাম।
শহিদুলের মৃত্যু খবর গ্রামে পৌছালে শোকের ছায়া নেমে আসে। আহত ৩ জনই হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ দিকে অবস্থা বেগতিক বুঝে সুজন সহ তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে দিয়েছে গা ঢাকা। খবর পেয়েই সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছান দর্শনা
থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাব্বুর রহমান কাজল, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শেখ মাহবুবুর রহমান ও ইন্সপেক্টর (অপরেশন) আবু সাঈদ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে পুলিশ। শুরু করে দফায় দফায় গ্রেফতার অভিযান। বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম, এএসপি সাজিদ।
শহিদুলের লাশ ময়না তদন্তের জন্য রাখা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে। সুজন সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শহিদুল হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মূলহোতা সুজনকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
তবে ওসি কাজল জানান, সুজনকে গ্রেফতারে পুলিশি জাল বিস্তার করা হয়েছে। গ্রেফতার অভিযান রয়েছে অব্যাহত। খুব শিগ্রহে সুজন সহ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে। আজ রোববার শহিদুলের লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের হাতে তুলে দিতে পারে পুলিশ। এ দিকে দিনে-দুপুরে প্রকাশ্য জনবহুল এলাকায় ছুরিকাঘাতে হত্যাকান্ডের ঘটনায় বিরাজ করছে আতংক।