দর্শনা দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামে দিনে-দুপুরে বসছে জুয়ার আসর। আর রাতে ঘটছে চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা। এতে করে আইন-শৃঙ্খলার ঘটছে অবনতি। আর আতঙ্কিতর মধ্যে এলাকাবাসীর রাত্রী যাপন। স্থানীয় প্রশাসন নীরব দর্শকের ভুমিকায় থাকার হেতু নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন?
জানাগেছে, দীর্ঘ দিন ধরে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা পৌর এলাকার দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের শাপলা পার্কের পার্শ্বে কুড়ের মাঠে মেহগুণী ও খেজুর বাগানে গড়ে তোলা হয়েছে জমজমাট জুয়ার আসর। আর এ জুয়ার আসরে প্রতিদিন স্থানীয় ও দূর-দূরান্ত থেকে আগত জুয়ারীরা জুয়া খেলতে হাজির হয়।
দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ-প্রশাসনের নাগের ডগায় বসে চলছে জুয়ার আসর। আর প্রশাসনের নীরব দর্শকের ভূমিকা পালনে সচেতন মহল হয়েছে হতবাক।
আর পুলিশ-প্রশাসনের নাগের ডগায় বসে নির্বিগ্নে এ জুয়ার আসর পরিচালনা করে চলেছেন দর্শনা দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের মিটে শাহর ছেলে আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী আশাদুল হক ওরফে আশা (৪৭)। এ জুয়ার আসরে প্রতিদিন লাখ,লাখ টাকার জুয়া খেলা হয়ে থাকে।
প্রশ্ন উঠেছে এ জুয়া খেলার টাকার উৎস নিয়ে। প্রতিদিন দর্শনা পৌর এলাকা সহ জেলার বিভিন্ন স্থানে চুরি-ছিনতাই সহ নানা অপরাধ মূলক কর্মকান্ড ঘটছে। আর এর অধিকাংশ ঘটনার অর্জিত টাকা জুয়ার আসরে ছিটানো হয়ে থাকে বলে এলাকাবাসীর ধারনা।
একদিকে দিনের আলোয় প্রকাশ্যে বসছে জুয়ার আসর আর অপর দিকে রাতের আঁধারে চলছে চুরি-ছিনতাইয়ের মহাৎসব। বেশ কিছু দিন ধরে দর্শনা পৌর শহর সহ দর্শনা থানাধীন এলাকায় ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ব্যাপক হারে।
এতকিছুর পরেও কেন প্রশাসন নীরব দর্শকের ভুমিকায় থাকার হেতু কি। বিষয়টি চুয়াডাঙ্গা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মহাদয়ের সু-দৃষ্টি কামনা করা সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।
দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ,এইচ,এম লুৎফুল কবীর বলেন, আমার বিষয়টি জানা নেই। তবে আমি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।