ফসলের জমিতে মিটার স্কেল স্থাপন হচ্ছে। ফলে প্রায় ১০ একর ফসলের জমি ও প্রায় দেড় বিঘা জমির বনজ সম্পদ হারিয়ে যাবে। জমির মালিকদের দাবী শুধুমাত্র মিটার স্কেলের জন্য এত জমির ফসল ও বনজ সম্পদ নষ্ট করার প্রয়োজন আছে কি-না তা একবার ভেবে দেখা দরকার কর্তৃপক্ষের।
এছাড়া যে সকল মিটার স্কেল দেশে রয়েছে তার কার্যকারীতা কতটুকু আছে তা দেখার প্রয়োজন। এছাড়া দর্শনা রেলগেট সংলগ্ন বিশাল এলাকা জুড়ে মিটার স্কেল স্থাপনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে জমি অধিগ্রহণের জন্য সার্ভে হয়েছে। গতকাল সোমবার বনজ সমম্পদ কর্মকর্তা কি পরিমাণ বনজ সম্পদ নষ্ট হচ্ছে এবং মূল্য নিধারণের জরিপ করেছে।
এদিকে জমির ঠিক মূল্য পাওয়া নিয়ে কৃষকদের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বাপ-দাদার জমি হারিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন বেশ কয়েক জন কৃষক। যে মাটির গন্ধ নিয়ে তাদের দিন কেটে যেত, সেই মাটিকে হারিয়ে স্থবির হয়ে পড়েছে কৃষকরা।
সরকারের প্রতি কৃষকদের দাবী দর্শনা রেলগেট থেকে তালবাগান পর্যন্ত এত ফসলের জমি ক্ষতিগ্রস্থ না করে সড়কের দু-পাশের পড়ে থাকা জমিতে মিটার স্কেল করে ফসলি জমি রক্ষা করা যায় কিনা ভেবে দেখা। কারণ দেশের বিভিন্ন স্থানে মিটার স্কেলগুলো সত্যিকারের কার্যকারিতা আছে কি-না দেখা প্রয়োজন।
ঢাকা যাওয়া আসার পথে যুমুনা সেতুর পারাপারে ওভার লোডিং যানবহন গুলো লক্ষ্য করলে দেখবেন। সেতু পারাপারের আগে ওভার লোড কমিয়ে অন্য একটি মিনি ট্রাকে বহন করে সেতু পার হয়ে আবার পূর্বের ন্যয় ওভার লোডিং করে কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলাচল করছে বলে একজন ট্রাক ড্রাইভার এ প্রতিনিধিকে জানালেন।
এছাড়া মিটার স্কেলে ওজন করার সময় লোড কমিয়ে স্লিপ নিয়ে পুনরায় লোডিং করে দিব্বি চলাচল করছে। দর্শনা পৌর এলাকার সড়ক পথগুলো বিভিন্ন স্থানে দেবে গেছে। এছাড়া কোথাও কোথাও পিচ উঠে সড়ক পথ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। ফলে মিটার স্কেল স্থাপন করে ফসলের জমি নষ্ট না করে যে সকল মিটার স্কেল দেশে রয়েছে তার কার্যকারিতা রক্ষা করার দাবী করেছে এলাকাবাসী।
.
এছাড়া দর্শনা রেলগেট থেকে দর্শনা তাল বাগান পর্যন্ত সড়কের পাশে বিশাল গর্ত বা হন্দর পড়ে আছে, সেখানে ফসলেন জমি বা বনজ সম্পদ নষ্ট না করে একটি সৃজনশীল মিটার স্কেল স্থাপন করা যায় কি-না কর্তৃপক্ষের ভেবে দেখা প্রয়োজন বলে এলাকার কৃষকরা দাবী করেছেন।