দামুড়হুদার উপজেলার দর্শনা থানার চন্ডিপুর গ্রামে স্ত্রীকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ট্রাক্টর চালক ও ট্রাক্টর ব্যবসায়ী স্বামী খোকন আলীর বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চন্ডিপুর বাজার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইসলামিক শরিয়ত মোতাবেক ১৪ বছর পূর্বে দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের মাঝপাড়ার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে খোকন আলীর (৩৫) সাথে বিয়ে হয় একই উপজেলার চন্ডিপুর বাজার পাড়া এলাকার আতিয়ার রহমানের মেয়ে নার্গিস খাতুনের। কিছুদিন ভালোভাবেই তাদের সংসার চলছিলো একপর্যায়ে যৌতুকের দাবি তোলেন খোকন আলী।
মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে সাধ্যমতো টাকাসহ অন্যান্য জিনিসপত্র তুলে দেন জামাইয়ের হাতে আতিয়ার রহমান। কিছু দিন যেতে না যেতেই আবার ও যৌতুক দাবি করে স্ত্রী নার্গিস খাতুনকে চাপ দিয়ে দেড় লাখ টাকার যৌতুকও নেন।
কিন্তু এতেও খোকন আলীর মন ভরেনি। পুনরায় টাকার জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন করে আসছিলেন, তাদের দাম্পত্য জীবনে দুটি সন্তান রয়েছে। এরা হলো বর্ষা খাতুন (১২) ও মো: জোবায়েদ (০৪)।
পারিবারিক কলহের জের ধরে গত এক বছর পূর্বে কুড়ুলগাছি আনন্দবাজার পাড়ার ইলাই মন্ডল এর মেয়ে সাথে পরকিয়ার জের ধরে রিনা বেগমকে (৩২) বিয়ে করেন।
বিয়ের পর থেকেই এই দম্পতি বাড়িতে এলেই নানান অযুহাতে প্রথম স্ত্রী নার্গিস খাতুনকে নির্যাতন করতেন। একপর্যায়ে গত (৪ মার্চ) শুক্রবার সাড়ে ১২ টার দিকে পরিকল্পিতভাবে স্বামী খোকন, দ্বিতীয় স্ত্রী রিনা বেগম, বাবু মিয়া, প্রথম স্ত্রী নার্গিস খাতুনকে বিদ্যুুৎস্পৃষ্ট করে হত্যার চেষ্টা করেন।
নার্গিস খাতুন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাঠিতে পড়ে গেলে খোকন ও দ্বিতীয় স্ত্রী রিনা মিলে গেছে পানি ঢেলতে থাকে এমন সময় আশে পাশে থাকা প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন।
মুমূর্ষু অবস্থায় প্রতিবেশীরা নার্গিস খাতুনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সোয়া ৩টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি ছিলো নার্গিস খাতুন।
এ বিষয়ে দর্শনা থানার পুলিশ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ এইচ এম লুৎফর কবিরের সাথে কথা বললে তিনি বলেন অভিযোগ পেয়েছি।
নির্যাতনের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর ভাই হাসানুজ্জামান। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।