দর্শনা আকন্দবাড়িয়ায় কৃষক আজিজুলকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার হামিদা গঙদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১ টার দিকে গ্রামের কেরুজ মাঠের পার্শ্বে রাস্তার ধারে ঘটনাটি ঘটে।
এতে মারাত্বক ভাবে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। উক্ত ঘটনায় হামিদা সহ ছেলে মনিরুল মোল্লা, মেয়ে শেফা ও আলামিন নামের আরও একজনের বিরুদ্ধে থানা পুলিশে অভিযোগ করেছে।
অভিযোগে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানাধীন বেগমপুর ইউনিয়নের আকন্দবাড়িয়া গ্রামের স্কুল পাড়ার মৃত শমসের আলীর ছেলে আজিজুল হক বাড়ির পার্শ্ববর্তী আকন্দবাড়িয়া কেরুজ চিনিকলের অধিনস্থ মাঠের পাশের রাস্তায় ঝোড়-ঝাপ কাটছিল। এসময় একই এলাকার লালুর ছেলে মনিরুল মোল্লা (২৮), মেয়ে শেফা (৩০) লালুর স্ত্রী হামিদা (৫২) ও জাহিদুলের ছেলে আলামিন অহেতুক ভাবে আজিজুলকে গালিগালাজ করতে থাকে।
ফলে তাকে গালিগালাজ করার উদ্দশ্য জানতে চাইলে রাস্তার পার্শ্বে থাকা কচা গাছের ডাল ও কাঠের বাইলধারা দিয়ে বেধরক ভাবে পিটাতে থাকে। এতে করে রক্তাক্ত জখম সহ মারাত্বক ভাবে আহত হয় কৃষক আজিজুল হক। এসময় তার আত্মচিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে উদ্ধার করে। এরপর পরিবারের লোকজন তাকে চিকিৎসার জন্য দামুড়হুদা উপজেলা চিৎলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নেয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছে আজিজুল হক।
আজিজুল অভিযোগ করে বলেন, আমার বাড়ির পার্শ্বে কেরুজ চিনিকলের অধিনস্থ আকন্দবাড়িয়া ফার্মের আওতায় কিছু জমি রয়েছে চাষের অনুপযোগী। এ জমি চাষের জন্য জমিতে থাকা বন-জোঙ্গল
আমি পরিস্কার-পরিছন্ন করে সেখানে বিভিন্ন ধরনের সাথী ফসলের খাটো আবাদ করছি। ওই জমির মধ্যে আবাদি ফসল প্রতিবেশী লালুর স্ত্রী আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী হামিদা ও তার গৃহপালিত ছাগল দিয়ে বিনষ্ট করছে। এনিয়ে কয়েকদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে জমির পার্শ্বে সড়কের ধারের ঝোড়-ঝাপ কেটে পরিস্কার করছিলাম। এসময় ঝোড় পরিস্কার করা নিয়ে হামিদা ও ছেলে মনিরুল মোল্লা এনিয়ে আমার সাথে ঝগড়া-বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। এরই একপর্যায় লালুর স্ত্রী হামিদা, ছেলে মনিরুল, মেয়ে শেফা ও জাহিদুলের ছেলে আলামিন রাস্তার পার্শ্বে থাকা কচা গাছের ডাল ও কাঠের তৈরী বাইলধারা নিয়ে অতর্কিত ভাবে হামলা চালায় এবং আমাকে টেনে-হেঁচরে হামিদার বাড়ির মধ্য নিয়ে বেধরক ভাবে মারধর শুরু করে। এতে আমি রক্তাক্ত জখম হওয়া সহ মারাত্বক ভাবে আহত হয়।
এসময় আমার আর্তচিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে আমাকে চিকিৎসার জন্য দামুড়হুদা উপজেলা চিৎলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নেয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক জানায়, সে ব্যাপক আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় তার বুকে ইঞ্জুরী হয়েছে।
হামলার কারণ হিসাবে আজিজুল আরও বলেন, হামিদা একজন চিহৃিত মাদক ব্যবসায়ী। তার ধারনা ঝোড়-ঝাপের মধ্যে হয়তো মাদক লুকিয়ে রাখতো। আমি ঝোড় কাটাতে তাদের হিংসা হওয়ায় আমার উপর হামলা চালানো হয়েছে।
এবিষয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দর্শনা থানা পুলিশে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।