পবিত্র ঈদুল আযহার আর মাত্র ৩ দিন বাকী থাকলেও কেনাকাটায় জমে উঠেনি দর্শনার শপিংমলগুলো। হতাশা বিরাজ করছে দোকান মালিকসহ কাপড় ব্যবসায়ীদের মাঝে।
প্রতি বছরই ঈদের প্রায় মাসখানেক আগে হতে ফুটপাতের বাজার থেকে শুরু করে বড় বড় শপিংমলগুলোতে বিক্রিবাট্টার ধুম পড়ে যায়। কিন্তু এবারের কোরবানি ঈদে দর্শনায় শপিংমল গুলোর অবস্থা ভিন্ন।
ঈদের আর মাত্র ৩দিন বাকি থাকলেও দোকানপাটগুলোতে সেভাবে বিক্রি নেই। নেই ক্রেতার আনাগোনা। দামুড়হুদা ও দর্শনা সহ-বিভিন্ন এলাকার বেশ কিছু মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, নেই বিক্রির আমেজ। বেচাকেনা না থাকায় অনেকটাই হতাশা বিক্রেতারা।
দর্শনা বিশিষ্ট পোশাক ব্যবসায়ীরা বলেন,বাংলাদেশের মানুষের ঈদ উৎসবে কেনাকাটার একটা বড় অংশ জুড়ে থাকে পোশাক। যদিও পোশাক বেশি বিক্রি হয় রোজার ঈদে। কোরবানিতে তুলনামূলক কম হলেও তা মন্দ নয়।
কিন্তু এ বছরের চিত্রটা একেবারেই ভিন্ন। কোরবানি ঈদে কোনো বিক্রি বাট্টা সম্ভব হয়নি। কোরবানির ঈদ ঘিরেও এখন পর্যন্ত সেভাবে ক্রেতাদের দেখা মিলছে না। সব মিলিয়ে একটা বড় ক্ষতির মুখে পোশাক ব্যবসায়ীরা।
ফরহাদ গার্মেন্টস মালিক ফরহাদ বলেন, অতীতে ঈদের দিন যতো এগিয়ে আসতো ততই মার্কেটগুলোতে ভিড় বাড়তো। এ বছর সেই চিত্র দেখা যায়নি। চুয়াডাঙ্গা নিউ মার্কেটে কিছু বিক্রি হলেও তা খুবই সীমিত আকারে।
তবে ফ্যাশন হাউজগুলোতে ভিড় না থাকলেও, কসমেটিকসের দোকানগুলোতে তুলনামূলক বেশি মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। চুড়ি, মাথার ক্লিপ, মেহেদী ও অন্যান্য প্রসাধনীর জিনিস সংগ্রহ করতে দেখা গেছে অনেককেই।
তারপরও সার্বিক প্রেক্ষাপটে অনেকটাই হতাশ ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, সারা বছর ধরেই ঈদ মৌসুম মাথায় রেখে আমাদের প্রস্তুতি চলে। কোরবানির ঈদ ঘিরে কতটুকু বিক্রি হবে তা এখনও বলা যাচ্ছে না। তবে যেটুকুই হোক, তা নিয়েই এবার সন্তুষ্ট থাকতে হবে।