দর্শনা কেরুজ চিনিকলের বিভিন্ন কৃষিখামার পরিদর্শন করেছেন শিল্পমন্ত্রানালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব আফরোজা বেগম পারুল।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে খামারগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করেন তিনি।
পরিদর্শনকালে আফরোজা বেগম পারুল বলেন, বর্তমান সরকারের সঠিক পরিকল্পনায় কৃষি উৎপাদনে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। সরকার কৃষকদের সম্ভাব্য সব রকম উপকরণ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সরকারের প্রবর্তিত কৃষি উপকরণ সহায়তা দেশে ও বিদেশে বিপুলভাবে প্রশংসিত হয়েছে। সেই সাথে কৃষি গবেষনা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিকল ও অপ্রতিকল পরিবেশ উপযোগী উচ্চ ফলনশীল কৃষি বীজ উদ্ভাবন করেছে। স্বাধীনতার আগে প্রায় সাত কোটি মানুষের খাদ্য উৎপাদন করতেই হিমশিম খেতে হয়েছে দেশকে। তখন আমদানি করে চাহিদা মেটাতে হতো। অথচ এখন দেশের লোকসংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি, পাশাপাশি আবাদি জমির পরিমাণ কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ। এরপরও খাদ্যশস্য উৎপাদনের রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। পরিশ্রমী কৃষক ও কৃষি বিজ্ঞানীদের যৌথ প্রয়াসেই এ সাফল্য। কেবল উৎপাদন বৃদ্ধিই নয়, হেক্টরপ্রতি ফলনও বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষকরা এখানেই থেমে যাননি। একই জমিতে বছরে একাধিক ফসল চাষের দিক থেকেও দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে। আর এ সাফল্য সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কৃষকের পাশাপাশি সঠিক পরিকল্পনা ফলে সরকারি কৃষি খামার গুলোও ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। দর্শনা কেরুজ চিনিকলের কৃষিখামার পরিদর্শনে এসে তার বাস্তবতা দেখলাম।
সফরসঙ্গী হিসাবে তাঁর সাথে ছিলেন, শিল্পমন্ত্রানালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (এমআইএস) সিরাজুছ ছালেকীন, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের ব্যবস্থাপক (মিলস ফার্ম) রওসন আরা আরজু।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, চিনিকলের ব্যবস্থপনা পরিচালক মোশারফ হোসেন, খামার ব্যবস্থপক সুমন কুমার সাহা, ফুরদেশপুর কৃষি খামার ইনচার্জ এমদাদুল হক। ঢাকা থেকে পরিদর্শনে আসা সদস্যরা বিশেষ করে ফুরশেদপুর খামারে আখের পাশাপাশি ছোলা, মসুরী, খেসারী, সরিষা, আলু, সূর্যমুখি ফুল সহ ৯ প্রকার খাদ্য শস্য উৎপাদন করা প্লটগুলো ঘুরে দেখেন।