বাংলাদেশ দূর্তাবাসের ছাড়পত্র নিয়ে দেশে ফিরেছে। তারা ব্যাঙ্গালুর ও ভেলোরে চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বন্দর দিয়ে পাসপোর্টে ভারতে প্রবেশ করে। ২০ মে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে সন্ধা সাড়ে ৬টার পর্যন্ত তারা ভারতের গেদে সীমান্তে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন শেষে দর্শনা জয়নগর সীমান্ত পথ দিয়ে দেশে প্রবেশ করে। দেশে প্রবেশের পর তাদের সবার করোনা পরীক্ষা সহ স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়ে। পরীক্ষায় সকলেরই করোনা পরীক্ষা করা হলে চারজনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
পরে বিশেষ পরিবহন ব্যবস্থায় তাকে চুয়াডাঙ্গা আইশোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। করোনা আক্রান্তরা হলেন দিনাজপুর জেলার সৈয়দপুর উপজেলার আব্দুল মান্নানের স্ত্রী নরূল নাহর,একই উপজেলার নূর ইসলামের স্ত্রী আরজিনা, গাইবান্ধা জেলার উত্তর গিদার গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী জান্নাতুল ইসলাম ও ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার কাশিনাথপুর গ্রামের কার্তিক মন্ডলের ছেলে পরিমল মন্ডল।
বাকি ১১৪ জনকে জেলার বিভিন্ন সরকারী বেসকারী কোয়ারান্টাইন ওয়ার্ডে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পুলিশ পাহারায় নেয়া হয়েছে। তাদের পাসপোর্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে জমা রাখা হয়েছে। এই নিয়ে ভারত থেকে গত তিনদিনে ভারতথেকে দর্শনা বন্দর দিয়ে ৩৩৪ জন দ্রর্তাবাসের অনুমতিপত্র নিয়ে দেশে ফিরেছে।২০২০ সালের ১৩ মার্স কারোনার পাদূর্ভাবরোধে সরকারী নির্দেশনায় দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রীদের যাতায়াতে নিষিদ্ধ আরোপ করে সরকার।
১বছরেরও অধিক সময় পর চেকপোস্টের কার্যক্রম পূনরায় চালু করা হয়েছে । দর্শনা সীমান্তে করোনা পরীক্ষায় দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ অমিত কুমার বিশ্বাসের নির্দেশনায় নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করেন দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এমটি ল্যাব প্যাথলজিস্ট আমজাদ হোসেন চঞ্চল, ও মামুন হোসেন।
ডাঃ অমিত কুমার বিশ্বাস জানান, ১১৮ জনের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ থাকাই তাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। এবং চারজনের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়ায় তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। দর্শনা ইমিগ্রেশন সুত্রে জানা গেছে, ভারতে আটকে পড়াদের মধ্যে দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে এপর্যন্ত ৩৩৪ জন দেশে প্রবেশ করেছে। এর আগে তারা ভারতীয় উপ-হাইকমিশন থেকে অনাপত্তিপত্র গ্রহন করে। পরে ভারতের নদীয়া জেলার গেদে চেকপোস্টে কাস্টমস ইমিগ্রেশন শেষে দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে দেশে প্রবেশ করে তারা।
দর্শনা চেকপোস্টে করোনা পরীক্ষা সহ সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিশেষ ব্যবস্থায় তাদেরকে কোয়ারেন্টিনে ও চারজনের করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় তাকে সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। দর্শনা ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আলীম জানান, ভারত থেকে ফেরত আসা সবাই চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিল। এরপর করোনার লকডাউনের কারণে দেশের সীমান্ত পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা ভারতে আটকা পড়ে। চারদিনে মোট ৩৩৪ জন দেশে ফিরেছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজ হোসেন জানান, দেশে প্রবেশে পর তাদেরকে ১১৮ জনকে বিশেষ পরিবহন ব্যবস্থায় কোয়ারান্টাইনে ও ৪ জনকে করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ড চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দিনব্যাপি বন্দরের সকল কার্যক্রম তদারকিতে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজ হোসেন ও দামুড়হুদা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুদীপ্ত কুমার সিংহ ও দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহব্বুর রহমান কাজল।ে