দর্শনা থানা প্রতিষ্ঠার বয়স দেখতে দেখতে ৪ বছর পূর্ন হলো। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ থানায় ৪ বছরে পর্যায়ক্রমে ৪ জন অফিসার ইনচার্জ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
দর্শনা থানার প্রথম ওসি মাহব্বুর রহমান কাজলের বদলির পরই যোগদান করেন এএইচএম লুৎফুল কবীর। তারপর যোগদান করেন ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ যোগদানের দুই মাসের মাথায় বদলী হয়ে বর্তমানে তিনি চুয়াডঙ্গা ডিবির ওসি হিসাবে কর্মরত আছে।
এরপর দর্শনা থানায় যোগদান করেন,ওসি বিপ্লব কুমার সাহা যোগদানের পর থেকে দর্শনা আইন শৃংখলা কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে সুধি মহল মনে করেন।তাই দর্শনা শহর চুয়াডাঙ্গা জেলার ভিতর অতিগুরত্বপূর্ণ শিল্প শহর হিসেবে দর্শনার পরিচিতি গোটা দেশেই।
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের ৪ বারের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগরের নিরলস প্রচেষ্ঠার ফসল হিসেবে দর্শনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে থানা হিসেবে উন্নিত হয়। গত ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারিতে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল আনুষ্ঠানিকভাবে দর্শনা থানার শুভ উদ্বোধন করেন। ২০২০ সাল থেকে ২৮/০২/২৪ পর্যন্ত মাদক উদ্ধার হয়েছে, ফেনসিডিল ১৩ হাজার ১৪২ বোতল, গাঁজা ৩শ ৫২ কেজি, ইয়াবা ট্যাবলেট ৭ হাজার ৭১৩ পিচ, চোলাই মদ ৮শ ৭৪ লিটার, বিদেশী মদ ২শ ৬ বোতল, ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট ২৩হাজার ৩শ পিচ, নেশা জাতীয় ইনজেকশন ১৩শ ২৩ পিচ, গাঁজা গাছ, ১৭ টি, ৩ পুরিয়া হেরোইন।
এ পর্যন্ত রুজুকৃত মামলার সংখ্যা ১১৯০, গ্রেফতার হয়েছে ২৯৩৭ জন। দর্শনা থানার প্রথম অফিসার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ইন্সপেক্টর মাহাবুর রহমান কাজল। তিনি যোগদানের পর থেকেই দর্শনা থনার মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেয় ওসি মাহব্বুর রহমান কাজল।তারপর দুই বছর পৃর্ন হওয়ায় বদলী হয়ে ডিবির ওসি হিসাবে যোগদান করেন।
এরপর ইন্সপেক্টর এএইচএম লুৎফুল কবীর দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে যোগদান করে যোগদানের পর থেকে তিনি মানুষের সাথে অসৌজন্য মৃলক আচরনসহ তার নামে বিভিন্ন কর্যলয়ে অভিযোগ পড়তে থাকে।একের পর এক বির্তকের জন্ম দেয় তিনি। এ সব ঘটনায় তাকে দর্শনা থানা থেকে বদলী করে গোয়েন্দা বিভাগের ৩ নং ওসি হিসাবে চুয়াডাঙ্গায় যোগদান করে।এরপর ওসি হিসাবে যোগদান করেন ফেরদৌস ওয়াহিদ তিনি যোগদানের দুই মাসের মাথায় বিদায় নিতে হয় দর্শনা থানা থেক।
এরপর যোগদান করেন, বিপ্লব কুমার সাহা, তিনি যোগদানের পর থেকে বেশ সুনামের সহিত কাজ করে যাচ্ছেন, দুজন ইন্সপেক্টরসহ একদল চৌকস এসআই, এএসআই ও কনস্টেবল নিয়ে সন্ত্রাস, অস্ত্র, ছিনতাই, ডাকাতি, ইভটিজিং, মাদক, চোরাচালানসহ অপরাধ বিরোধী ঝটিকা অভিযান চলমান রেখেছে। এবং দর্শনা থানার আইন শৃংখলা স্বাভাবিক চলছে বলে ধারনা করছে সাধারন মানুষ। যেকোন মূল্যের বিনিময়ে মাদককে শূন্যের কোটায় আনার ঘোষণা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। মাদকমুক্ত দেশ গঠনের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
সে নির্দেশ মোতাবেক চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান পিপিএম স্যার মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছেন। পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশে মাদক মুক্ত থানা গঠনের অঙ্গিকার নিয়ে মাঠে রয়েছি আমরা। দর্শনা থানা পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযান রয়েছে অব্যাহত। দর্শনা থানাবাসীর সহযোগিতা এভাবেই অব্যাহত থাকলে অবশ্যই মাদকমুক্ত এলাকা গড়া সম্ভব হবে। তাই আসুন আমরা মাদককে না বলি, মাদক চোরাচালানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে মাদককারবারী, চোরাচালানী ও অপরাধীদের আইনের হাতে তুলে দিতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলি।