চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানাধীন সুলতানপুর সীমান্ত থেকে প্রায় ২ কেজি ৩৫০ গ্রাম ওজনের ছোট-বড় ৪টি স্বর্ণের বারসহ কুষুম পোদ্দার (৪৭) নামের এক চোরাকারবারিকে আটক করেছে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে দর্শনা হঠাৎপাড়া রেলক্রসিং এলাকায় থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত চোরাকারবারি কুষুম পোদ্দার গাজীপুর জেলার টুঙ্গি থানার মনুনগর টুঙ্গিভরান গ্রামের হারি সাধন পোদ্দারের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি দর্শনা থানার সুলতানপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে স্বর্ণেরবার চোরাচালান হবে। খবর পেয়ে বিশেষ টহল দল সীমান্ত পিলার ৭৭/২-এস থেকে আনুমানিক ৪ কিলোমিটার বাংলাদেশের ভিতরে হঠাৎপাড়া রেলক্রসিং এলাকায় অবস্থান করেন। সকাল ৭টার দিকে এক ব্যক্তিকে সিভিল বাস থেকে নেমে রেলক্রসিং এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখলে বিজিবি সশস্ত্র টহল দলের সন্দেহ হয়। বিজিবি সশস্ত্র টহল দল সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করেন। আটক ব্যক্তিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় তার কাছে কোনো চোরাচালানী পণ্য নেই বলে বিজিবি টহল দলকে অবহিত করেন। পরবর্তীতে বিজিবি টহলদল আটক চোরাকারবারী কুষুম পোদ্দারের দেহ তল্লাশি করে কোমরে পেঁচানো কাপড়ের বেল্টের ভিতর থেকে ২ কেজি ৩৫০ গ্রাম ওজনের ছোট বড় ৪টি স্বর্ণের বার এবং ১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করতে সক্ষম হন। আটক এসব স্বর্ণের বারের আনুমানিক বাজার মূল্য ২ কোটি ২ লাখ টাকা।
তিনি আরও বলেন, স্বর্ণের বারের শুল্ক কর ফাঁকি দিয়ে ভারতে পাচারের উদ্দেশে পরিবহন করা ও নিজ জিম্মায় রাখার অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
আটক আসামির বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় নায়েক রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন এবং সোনার বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।