প্রচণ্ড গরমে এক সপ্তাহ স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশনার পর আবারও স্কুল-কলেজ চালু হওয়ার ধারাবাহিকতা শুরু হয়েছে। এই প্রচণ্ড গরমে বাচ্চাদের স্কুলে যাতায়াতের সময়ে নানা ধরনের সমস্যাই হতে পারে। আবার অনেক স্কুল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত থাকলেও সব স্কুলে তো আর সে সুযোগ নেই। তাই বাড়তি একটু দুশ্চিন্তা থাকেই। এই বাড়তি দুশ্চিন্তার জায়গা থেকেই শিশুর যত্নের দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। শিশুর পোশাক থেকে শুরু করে তার আরামের সবকিছুর দিকেই খেয়াল রাখা জরুরি। সামান্য ভুলে তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি তো থাকেই সঙ্গে আরো যুক্ত হয় নানা অনুষঙ্গ। এসব বিষয় সম্পর্কে সচেতনতা জরুরি।
পোশাকের ভাবনা
স্কুলের ড্রেসকোড তো আর আলাদা করা যায় না। সেক্ষেত্রে অবশ্যই সুতির পোশাক দেবেন ওদের সঙ্গে। স্কুলে যাওয়ার আগে শিশুদের মাথায় ক্যাপ দিন। চোখ রক্ষার জন্য সানগ্লাস আর ত্বকে সানস্ক্রিন লোশন লাগিয়ে দেবেন। এভাবে রোদের তাপ সরাসরি গায়ে লাগবে না। ওদের সঙ্গে সবসময় ছাতা দেবেন। স্কুলে প্রয়োজনের বেশি বই বহন করতে দেবেন না। গরমে শিশুদের চুল বড় না রাখাই ভালো। মেয়েদের ছোট চুল আটকে রাখতে সুবিধা হয়। জুতার ব্যাপারটিও মাথায় রাখবেন। জুতা যেন আরামদায়ক হয়।
বিশুদ্ধ পানি
এই গরমে বিশুদ্ধ পানি পান করাবেন আপনার শিশুকে। স্কুলগামী শিশুদের ব্যাগে ছোট বোতলে বিশুদ্ধ পানি দিয়ে দেওয়া জরুরি। পানির বোতলটি পরিষ্কার রাখুন। স্কুলে যাওয়ার পথে শিশুকে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি, আইসক্রিম, কোমল পানীয় খাওয়া থেকে বিরত রাখুন। রাস্তায় বিভিন্ন কুলফি, মালাই বা লেবুর শরবতও তাদের খেতে দেবেন না। স্কুল থেকে ফেরার পর চিনি, লেবুর শরবত অথবা দইয়ের ল্যাসি বানিয়ে দিতে পারেন। স্যালাইনও দিতে পারেন। বাইরের কোনো স্ন্যাকস বা ভাজাপোড়া খেতে দেবেন না।
টিফিনে দিন বাড়তি যত্ন
এই গরমে শিশুর টিফিন নিয়েও বাড়তি দুশ্চিন্তা রাখা দরকার। পানি তো দেবেনই সঙ্গে মৌসুমি ফল দিলে ভালো হয়। কমলা, পেঁপে বা অন্য মৌসুমি ফল স্লাইস করে দিন। সঙ্গে দই বা অন্য কিছু দিতে পারেন। সকালের নাস্তাতে সবজির প্রাধান্য রাখুন।
তোয়ালে আর টিস্যু সঙ্গে দিন
সন্তানকে যতটা সম্ভব ঘাম থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন। ঘাম থেকে দূরে রাখার কাজটি সহজ না। স্কুলে থাকলে গরম ভয়াবহভাবে কাবু করতেই পারে। তাই তোয়ালে বা টিস্যু দিন। আপনার সন্তান স্কুলে গেলে মুখ, হাত ধোবেই। তাই তাদের যেন হাত-মুখ মোছার সুযোগ থাকে তা নিশ্চিত করুন।
সূত্র: ইত্তেফাক