দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের মজলিস পুর গ্রামে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সজল কুমার দাস এর হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল দশম শ্রেণির এক ছাত্রী।
আজ বুধবার দুপুরে বিয়ে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিবাহটি বন্ধ করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সজল কুমার দাস। সেই সঙ্গে বিয়ে বাড়িতে বরযাত্রীদের জন্য তৈরি করা খাবার স্থানীয় বিষ্ণুপুর ফুরকুনিয়া উলুম কওয়ামী লিল্লাহ বোডিং এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী (১৬) কুতুব উদ্দিন এর মেয়ের বিয়ের আয়োজন চলছিলো তার জন্মসন ২০০৮ সন থেকে কম্পিউটার এডিডের মাধ্যমে ২০০৫ সন করে বিয়ের পায়তারা চলমান কালে গোপন সূত্রে এমন খবর পেয়ে মেয়েটির বাড়িতে অভিযান চালান দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সজল কুমার দাস। ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কনের মা ও বাবা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান।
তখনো বরপক্ষ উপস্থিত না হওয়ায় উপস্থিত কনের অভিভাবককে বাল্যবিবাহ বন্ধের নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। কনের মা-বাবা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়েটিকে বিবাহ দেওয়া যাবে না এ মর্মে তাঁর চাচার কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বরপক্ষের জন্য রান্না করা খাবার উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর ফুরকুনিয়া উলুম কওয়ামী লিল্লাহ বোডিং এতিমখানার শিশুদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে এসিল্যান্ড সজল কুমার দাস প্রতিবেদকে বলেন, কনে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় দেশের প্রচলিত আইন মেনেই এই বাল্যবিবাহটি বন্ধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কনের মা ও বাবা পালিয়ে যাওয়ায় শাস্তি হিসেবে বিয়ের বরযাত্রীদের জন্য তৈরি করা সব খাবার এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। এটাই তাদের শাস্তি, এই বাল্যবিবাহ যাতে না হয়, সে জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখা হবে, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযানের পরিচালনায় সহযোগিতা করেন দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ সহ জুড়ানপুর ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশের সদস্যগন।