দামুড়হুদা জয়রামপুর রেল স্টেশনে নকশীকাঁথা (গোয়ালন্দ মেল) ট্রেনের আপ-ডাউন যাত্রাবিরতি পূর্ণবহালের দাবীতে স্থানীয় বাসিন্দারা আবারো মানববন্ধন করেছে। আজ বুধবার বিকাল ৪ টার দিকে জয়রামপুর স্টেশন ট্রেন অধিকার সংরক্ষণ কমিটির আয়জনে জয়রামপুর রেল স্টেশনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা থেকে ছেড়ে আসা নকশীকাঁথা (গোয়ালন্দ মেল) ট্রনটি শেই ব্রিটিশ পিরিয়ড থেকে এই জয়রামপুর রেল স্টেশনে থামতো এবং এই অঞ্চলের মানুষের জীবন যাত্রা কৃষি পণ্য পরিবহন থেকে শুরু করে বিপুল জনগোষ্ঠী দীর্ঘ দিন যাতায়াতের সুবিধা ভোগ করতো। কিন্তু হঠাৎ বিধিবাম, এই ট্রেনের ঢাকাগামী নতুন সংস্করণ নকশীকাঁথা (গোয়ালন্দ মেল) ট্রেনের প্রকাশিত নতুন যাত্রাবিরতি সিডিউলে জয়রামপুর রেল স্টেশনকে বাদ রাখা হয়েছে। যার ফলে চলতি ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে জয়রামপুর রেল স্টেশনে আর নকশীকাঁথা (গোয়ালন্দ মেল) ট্রেনটি থামছেনা। দামুড়হুদা থানার একমাত্র স্টেশন জয়রামপুর রেলওয়ে স্টেশন হতে যাতায়াত করা লক্ষাধিক মানুষের ব্যাবসা বানিজ্য, চাকুরি, চিকিৎসা ও আত্মীয়তায় অবর্ণনীয় ছাপ পড়েছে এবং মানুষ ইতিমধ্যেই দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। এ দুর্ভোগ নিরসনের জন্য গত ২৪ নভেম্বর ২০২৩ইং তারিখে বিপুল সংখ্যক মানুষ জয়রামপুর রেলওয়ে প্লাটফর্মে একটি মানববন্ধন করে এবং গত ২৯শে নভেম্বর পাকসি আঞ্চলিক রেল ব্যবস্থাপকের কার্যালয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের গনদুর্ভোগের বিষয় জানিয়ে একটি গন পিটিশন দাখিল করে জয়রামপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা।
জয়রামপুর স্টেশন ট্রেন অধিকার সংরক্ষণ কমিটির আহবায়ক লাজিব আক্তার সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এবং কুকিয়া চাঁদপুর আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো: আব্দুল আলিমের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টা ও হাউলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খোকন, উপদেষ্টা নাফিজ আক্তার সিদ্দিকী, আনোয়ারুল মাস্টার, উপদেষ্টা ও হাউলী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আয়ুব আলী স্বপন, প্রচার সম্পাদক কামরুল ইসলাম মিফতা, কো সমন্বয়ক ও পড়শি’র সভাপতি মোঃ হানিফ, হুমায়ুন আহম্মদ ডাবলু প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন, ট্রেনের জন্মলগ্ন থেকে জয়রামপুর রেল স্টেশনে গোয়ালন্দ মেল ট্রেনটি থামতো, কিন্তু এ মাসের প্রথম দিন থেকে ট্রেনটি আর জয়রামপুর স্টেশনে থামছেনা। জয়রামপুরে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা, জয়রামপুর হাঁট, কেরু এন্ড কোম্পানির আখ সেন্টার ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস সহ হাজার হাজার শিক্ষার্থী সহ পথচারীরা এই রেল স্টেশনের উপর দিয়ে চলাফেরা করে।
এই স্টেশনে নেই কোন গেটম্যান, ফলে মাঝে মধ্যেই ট্রেনে কেটে মানুষ, পথচারী, স্কুল কলেজ মাদ্রাসা পড়ুয়া ছেলে মেয়ে নিহত হচ্ছে। বক্তারা হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন অচিরেই যদি পুনরায় নকশীকাঁথা (গোয়ালন্দ মেল) ট্রেনটি জয়রামপুর স্টেশনে না থামানো হয় তাহলে আগামীতে স্থানীয় ও এলাকার জনগণ নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।