দামুড়হুদা উপজেলার কাদিপুর গ্রামে এক নববধুর গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নববধূ সুখজান খাতুন(২০) চুয়াডাঙ্গা উপজেলার ঝাঝরি বেগমপুর গ্রামের কুদ্দুস আলীর মেয়ে।
দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। আজ শনিবার সন্ধা ৬ টার দিকে সুখজানের স্বামীর ঘরে আড়ার সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে।
জানাযায়, দামুড়হুদা উপজেলার কাদিপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে ইকবল হোসেনের সাথে ১০ মাস পৃর্বে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ঝাঝরি বেগমপুর গ্রামের কুদ্দুস আলীর মেয়ে সুখজানের বিবাহ হয়। বিবাহর পর থেকে সুখে শান্তিতে বসবাস করছিল। স্বামী স্ত্রী মধ্যে মিল থাকলেও মাঝে মাঝে ইকবল তার স্ত্রীর কাছে টাকা দাবি করায় উভায়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হতো। তার জের ধরে এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসীর ধারণা। তবে পরিবারের দাবি তার মেয়েকে মেরে ফেলেছে।
মেয়ের চাচাতো ভাই জুড়ন আলী বলেন, আমার বোনের বিয়ের দেওয়া পর থেকে বিভিন্ন সময় টাকা চাইতে থাকে। কিছুদিন আগেও দেড় লক্ষ টাকা দাবি করে আমরা এটা দিতে পারি নাই তার কারণে আমার বোনকে তারা মেরে ফেলতে পরে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
সুখজানের মা সেলিনা বলেন,বিয়ের পর থেকেই জামায় বিভিন্ন জিনিস ও টাকা চাই আমি সব দিয়েছি। আবার কয়একদিন আগে দেড় লক্ষ টাকা চেয়েছে আমি এক লক্ষ টাকা দিতে রাজি হয়েছি তার পরও আমার মেয়েকে মেরে ফেললো।
দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি অপেরেশন হিমেল রানা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কাদিপুর গ্রামের এক নববধূ আত্মহত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।