চুয়াডাঙ্গার জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কানাইডাঙ্গা গ্রামের ইয়ামিন হোসেন নামের ৭ বছর বয়সী এক শিশুকে আমবাগানের ভিতরে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার বেলা ২টার দিকে উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কানাইডাঙ্গা গ্রামের একটি আমবাগানে থেকে তার লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। নিহত ইয়ামিন কানাইডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের নাতি ও মুজিববনগর উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের সেলিম রেজার ছেলে। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর মায়ের সাথে নানার বাড়িতে থাকতো ইয়ামিন।
ঘটনার পর থেকে হত্যাকারী জাহিদ পলাতক রয়েছে। হত্যাকারী জাহিদ হাসান(১৬) কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের ৭ ওয়ার্ড কানাইডাঙ্গা গ্রামের মেম্বার আশাদুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দুপুরে বন্ধুরা মিলে বাড়ির পাশে খেলা করছিলো ইয়ামিন ও তার বড় ভাই ইমন। এসময় আশাদুল ইসলামের ছেলে জাহিদ হাসান ৩০টা দিয়ে মুড়ি কেনার জন্য ইয়ামিনকে দোকানে পাঠায়। মুড়ি কিনার পর অবশিষ্ঠ থাকা ১০টাকা খরচ করে ফেলে ইয়ামিন। পরে জাহিদ বাকী টাকা চাইলে ইয়ামিন দিতে না পারায় তাকে দড়ি দিয়ে গাছের সাথে বেধে মারধর করে। এসময় ইয়ামিনের বড় ভাই ইমন ভয় পেয়ে পালিয়ে এসে ঘটনা বাড়িতে জানালে পরিবারের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ির পাশে আম বাগানে ইয়ামিনের জবাই করা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে পুলিশে খবর দিলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ। তিনি জানায় হত্যায় ব্যবহৃত হেসুয়াটি এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। শিশু ইয়ামিনের হত্যাকারী জাহিদকে আটক করতে পুলিশ অভিযান চালানো হচ্ছে। হত্যায় ব্যবহৃত রক্তাক্ত হেসোয়াটি এখনো উদ্ধার করা যায়নি। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছে। তিনি বলেন, শিশু ইয়ামিনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।