দামুড়হুদা উপজেলার চিহ্নিত ভূমিদস্যু আখিরুল, সেন্টু, শাহিন ও ইলিয়াস এর নেতৃত্বে উপজেলার ভগিরাতপুর প্রাথমিক স্কুল পাড়ার দলকা বিলের পাশ ঘেঁষে ফসলি জমি বিনাশ করে পুকুর খননের নামে চলছে মাটি খননের হিড়িক।
উল্লেখিত স্থান সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে কৃষি জমি বিনাশ করে কৃষি জমি ধ্বংস হওয়ার পরও মিলছে না সুরাহ?
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাটি কাটার দানব যন্ত্র এক্সক্যাভেটর বা ভেকু মিশিন ভিড়ানো ফসলি জমির মাঝে। প্রায় ১০ বিঘা জমির কিছু অংশ মাটি কাটার পর তুলে রাখা হয়েছে, এরই মধ্যে কিছু অংশ আবার গেছে ইট তৈরির জন্য ইট ভাটার পেটে।
ভেকু মেশিনটির মালিক ও ড্রাইভারের নিকট থেকে জমিটি থেকে কে বা কারা অবৈধভাবে মাটি খনন করে পুকুর নির্মাণ করছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে উভয়ই বলেন আমরা সিংহাটি গ্রাম থেকে আসছি।
এ গ্রামের সেন্টু এ গাড়িটি ভাড়া করেছেন মাটি খনন করে পুকুর তৈরির জন্য। পুকুর খনন কাজে শুধু কি সেন্টু একাই চালাচ্ছেন না আরো কেউ আছে এমন প্রশ্নে তারা সহ স্থানীর কৃষকদের অনেকেই বলেন সেন্টুর আরো তিনটি পার্টনার আছে তাদের একজনের বাড়ি দামুড়হুদা উপজেলার সদর ইউনিয়ন চিৎলা গ্রামের আখিরুল ও এ গ্রামের ইলিয়াস ও শাহিন।
জমির প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না’- এমন সরকারি নির্দেশ থাকলেও দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ফসলি কৃষি জমিগুলো পরিনত করা হচ্ছে গভীর পুকুরে।
অপরিকল্পিত ভাবে উপজেলার প্রায় সকল ইউনিয়নে শত শত বিঘা ফসলি জমিতে পুকুর খনন করার আয়োজন চলমান রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় দামুড়হুদা উপজেলার সদর ইউনিয়নের চিৎলা গ্রামের গ্রামের চিহ্নিত ভূমিদস্যু আমিরুল, নতিপোতা ইউনিয়নের ভগিরাথপুর গ্রামের ভূমিদস্যু সেন্টু, ইলিয়াস ও শাহিনের নেতৃত্বে মেহেরপুরের সিংহাটি থেকে মাটি খননের দানব যন্ত্র এক্সক্যাভেটর বা ভেকু মেশিন ভাড়া নিয়ে এসে ফসলি জমি বিনাশ করে পুকুর খননের নামে বিক্রি কারা হচ্ছে উর্বর মাটি। চিহ্নিত ভূমিদস্যুদের ভূমিদস্যুতার স্বীকারে হ্রাস পাচ্ছে ফসলি জমির পরিমাণ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়দের আলাপকালে জানা যায়,এ গ্রাম সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানের একের পর এক কৃষি জমি ধ্বংস করা হচ্ছে। আর অধিকাংশ কৃষি জমির মাটি অবৈধ ট্রাক্টর ও চালকদের বেপরোয়া গতির মাধ্যমে স্থানীয় ইটভাটা সহ বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছেন হরহামেশাই।
দেখে মনে হয় কৃষি জমি ধ্বংসে রক্ষার্থে দেখার কেউ নাই। ট্রাকের মাটি আর ধুলার আস্তরণে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ ও আঞ্চলিক সড়কগুলো। ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়তে হয় ছোট বড় বিভিন্ন যানবাহন সহ পথচারীরা।
নাম না বলে স্থানীয় এক কৃষক এ প্রতিবেদক কে জানান, স্থানীয় ভাবে সার্বিক দিক ম্যানেজ করেই হয়তো এসকল ভূমিদস্যুরা অবৈধভাবে কৃষি জমি বিনাশে মেতেছেন।
তা না হলে উল্লেখিত স্থান সহ বিভিন্ন স্থানে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে নির্বিঘ্নে কিভাবে কৃষি ধ্বংস করছেন? এখুনি দলকা বিলের পাশ সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কৃষি জমি ধ্বংস করে মাটি খননের কাজ বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরি।
তা না হলে যেভাবে মাটি কেটে গর্ত, বাসা বাড়ির আঙ্গিনা সহ ইটের ভাটার পেট ভরানো হচ্ছে তাতে করে অচিরেই উপজেলার খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।