দামুড়হুদা উপজেলার কাদিপুর গ্রামের আলমগীরের জয়রামপুর মাঠে চাষ করা ফলন্ত ২ বিঘা জমির চিচিঙ্গা গাছ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জয়রামপুর গ্রামের সেলিম, রোকন ও মতি হুজুর কেটে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এ চিচিঙ্গা গাছ কাটার ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার সকালে দামুড়হুদা মডেল থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে আলমগীর বাদি হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার কাদিপুর গ্রামের মৃত কাদের আলি ছেলে আলমগীর হোসেন জয়রামপুর গ্রামের সলেমান মল্লিকের ছেলে আজিবার এর নিকট হইতে মেয়াদী হিসাবে গ্রহণ করিয়া ৪বিঘা চিচিঙ্গা চাষাবাদ করে আসছে।
চিচিঙ্গা ধরার পর থেকেই জয়রামপুর গ্রামের মহিরের ছেলে সেলিমের নিকট বিক্রয় করে। গত বৃহস্পতিবার চিচিঙ্গা বিক্রয় করা নিয়ে আলমগীর ও সেলিম এর সাথে কথাকাটাকাটি হয়। তখন সেলিম বলে তোর দেখে নিবো। পরে আজ শুক্রবার সকালে চিচিঙ্গার জমিতে এসে দেখে ২ বিঘা চিচিঙ্গা গাছ কেটে দিয়েছে। এতে আমলগীরের প্রায় দেড় লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানায়।
পরে দামুড়হুদা মডেল থানায় আলমগীর বাদি হয়ে জয়রামপুর গ্রামের মহির ছেলে সেলিম,সেলিমের ছেলে রোকন ও মৃত মফিজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে মতি হুজুর নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করে।
এ বিষয়ে আলমগীর বলেন, আমি একজন চাষী মানুষ। দামুড়হুদা থানাধীন জয়রামপুর গ্রামস্থ আজিবরের এর নিকট হইতে ৪ বিঘা জমি মেয়াদী হিসাবে গ্রহণ করিয়া চাষাবাদ করিয়া আসিতেছি। গত ইং ১০/০৮/২০২৩ তারিখ সকাল অনুমান ১০:৩০ ঘটিকার সময়ে আমি চিচিঙ্গে তুলে নিয়ে গিয়ে সেলিমের নিকট জিজ্ঞাসাবাদ করি যে, আপনি কত করে দাম দেবেন তখন সে বলে আমি ০৫/- টাকা করে কেজি দিবো। দর কসাকসির এক পর্যায় দাম সঠিক না পাওয়ায় আমি অন্যত্র এক ব্যাপারির কাছে ১৬ টাকা দরে বিক্রয় করে দিই। এ সময়ে সে ক্ষিপ্ত হইয়া আমার চিচেঙ্গের কার্টুনে লাথি মারে এবং আমাকে উদ্দেশ্য করিয়া অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করিতে থাকে এবং আমাকে হুমকি প্রদান করে যে তোকে দেখে নেবো এবং তোর যে কি ক্ষতি করিবো তুই বুঝতেও পারবি না। তারই জের ধরে গত ইং ১০/০৮/২০২৩ তারিখে সন্ধ্যার পর হইতে অদ্য ইং ১১/০৮/২০২৩ তারিখ সকাল অনুমান ০৭:০০ ঘটিকার সময়ের মধ্যে যে কোন সময়ে উক্ত বিবাদীগণ যোগসাজসে আমার ০৪ বিঘা জমির চিচিঙ্গে ক্ষেতের মধ্যে ০২ বিঘা জমির চিচিঙ্গে ক্ষেত কর্তন করিয়া ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি করিয়াছে।
দামুড়হুদা মডেল থানার ডিউটি অফিসার এস আই তোবারক সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। ওসি স্যারের নির্দেশক্রমে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থাগ্রহন করা হবে।