দামুড়হুদায় বিরামহীন বৃষ্টির পানিতে বিধ্বস্ত হয়েছে বেশকিছু মাটির তৈরি বাড়িঘর। বাড়ির উঠানসহ এলাকার অধিকাংশ রাস্তাই রয়েছে পানির নিচে। তলিয়ে গেছে মাঠের বিস্তীর্ণ ধানের জমিসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ। বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না কর্মব্যস্ত সাধারণ জনগণ।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের তারিনীপুর গ্রামে ৩০টি পরিবার পানি বন্দি, বাড়ির উঠানের ওপরে হাঁটু সমান পানি। মাটির তৈরি বসতঘরের দেয়াল ধসে পড়েছে। প্রায় সপ্তাহ ব্যাপি বিরামহীন বৃষ্টির ফলে এলাকার বেশিরভাগ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে হাউলী ইউনিয়নের তারিনীপুর গ্রামের জনগণ।
এছাড়া গ্রামের মধ্যে জমে থাকা বৃষ্টির পানি বের করার জন্য নেই কোনো কালভার্ট বা ড্রেনেজ ব্যবস্থা। ফলে বৃষ্টির সমস্ত পানিই থেকে যাচ্ছে গ্রামের ভেতরে। অতিমাত্রায় বৃষ্টির পানিতে বেশ কয়েকজনের মাটির তৈরি বসতঘরের দেয়াল ধসে পড়তেও দেখা গেছে।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী আশাদুল হক বলেন, দিনের বেলায় কষ্ট করে চলাফেরা করলেও ভাঙনের ভয়ে রাতে ঘুম হয় না। তাছাড়া সাপ ও পোকামাকড়ের ভয় তো নিত্যসঙ্গী। টয়লেট করা নিয়ে চরম বিপাকে রয়েছে পরিবারের সদস্যরা। অন্যত্র যাওয়ার সুযোগ না থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন ওই পরিবারের সদস্যরা। তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সু-দৃষ্টি কামনা করছেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।
ভুক্তভোগী বিল্লাল হোসেন বলেন, লাগাতার বৃষ্টির পানিতে কালভার্ট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় প্রায় ৩০টি বাড়ি পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে আমার ঘরের মধ্যে পানি উঠে আড়াই বিঘা জমির ৫০ মন শুকনো ধান ভিজে গেছে যদি রোদ না উঠে তাহলে আমার প্রায় ৭০ হাজার টাকার ধান নষ্ট হয়ে যাবে।
এবিষয়ে হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) নিজাম উদ্দিন বলেন, এখনও পর্যন্ত বিষয়টি আমি জানিনা, এখন জানতে পারলাম, সরজমিনে গিয়ে ব্যাবস্হা গ্রহন করা হবে।