দামুড়হুদা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের দলকা বিলে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের চার জন আহত হয়েছে। আহতরা দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ ঘটনায় দামুড়হুদা মডেল থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা করেছেন।
উভয় পক্ষের আহতরা হলেন, গোপালপুর গ্রামের আমির হামজার ছেলে জুড়ানপুর ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম (৫০) আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রুহুল আমীন, অপর পক্ষে একই গ্রামের জালাল মন্ডলের ছেলে মোজাম্মেল ও নুরুল আলমের ছেলে বখতিয়ার হোসেন। হাসপাতালে ভর্তি আছে এবং প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বেশ কয়েকজন বাড়ি ফিরে গেছে। এবিষয়ে উভয় পক্ষ দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে। এক পক্ষের বাদি উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মৃত জালাল মন্ডলের ছেলে মোঃ হকাজ্জেল (৪৫) এবং অপর পক্ষের বাদি একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো: রুহুল আমীন (৩০)। উভয় পক্ষ প্রায় ১৫ জনের নামে মামলা দায়ের করে।
পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, গতকাল রোববার সকালে দামুড়হুদা উপজেলার দলকা লক্ষিপুর বিল নিয়ে দুই পক্ষ মারামারি করেছে। এতে উভয় পক্ষের ৪ জন আহত হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে এবং প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বেশ কয়েকজন বাড়ি ফিরে গেছে। দুই পক্ষই দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে। উভয় পক্ষের মামলা দামুড়হুদা মডেল থানায় প্রক্রিয়াধীন ছিল এবং মারামারির ঘটনায় দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
দলকা লক্ষিপুর বিল মৎস্য সমবায় সমিতর পক্ষে মামলার বাদি উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মৃত জালাল মন্ডলের ছেলে মোঃ হকাজ্জেল বলেন, আমরা নৌকার পক্ষে ভোট করায় দলকার বিলের বিষয় নিয়ে আমাদেরকে স্বতন্ত্র ট্রাকের নেতাকর্মীরা হামলা চালাচ্ছে। আবার ওপর পক্ষ দলকা বিলে হেমায়েতপুর প্রগতি মৎসজীবী সমবায় সমিতির পক্ষে পাহারাদার ও মামলার বাদি উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো: রুহুল আমীন বলেন, আমরা স্বতন্ত্র ট্রাকের পক্ষে ভোট করায় দলকার বিলের বিষয় নিয়ে নৌকার পক্ষের লোকজন আমাদের উপরে হামলা চালাচ্ছে। তাদেরকে বিলে মাছ ধরতে নিষেধ করলেও তারা জোরপূর্বক বিলে মাছ ধরে এবং আমাকে সহ একজন ইউপি সদস্যকেও মারধর করে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী জেলা প্রশাসক ও চুয়াডাঙ্গা ০২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি মো: আলী আজগার টগর এমপির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর কবির বলেন, দুই পক্ষের মামলা রেকর্ড হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।