চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় এই প্রথম খামার যান্ত্রিকই’ (সমকালীন) পদ্ধতি ধান চাষ শুরু করা হয়েছে। দামুড়হুদার হাউলির মাঠে এই পদ্ধতিতে ধান চাষ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তিন ধরনের পদ্ধতিতে বীজ তলা ও চারা তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
এই পদ্ধতিতে চাষ করে চাষিরা বেশি লাভবান হবে বলে আশা করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার হাউলির মাঠের ১৫০ বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের এই ধান চাষ করা হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে চাষিরা অর্ধেক খরচে তাদের ধান ঘরে তুলতে পারবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জনা যায়, দিন দিন আবাদী জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। সেই সাথে কৃষি শ্রমিকের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। ফলে কৃষিতে শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যাচ্ছে, তাতে করে ধানের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।
এই কারণে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফার্ম মেশিনারি এন্ড পোস্টহারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগ যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদের লক্ষ্যে খামার যন্ত্রপাতি গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় বিশেষ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। ধানের উৎপাদন খরচ কমাতে দেশের ৪৯২ উপজেলার মধ্যে ৬১টি উপজেলায় প্রথম বারের মত এই পদ্ধতিতে চাষ করা হচ্ছে।
এর মধ্যে দামুড়হুদা উপজেলার হাউলির মাঠে এক নম্বর সেচ পাম্পের আওতায় দামুড়হুদা কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধানে ১৫০ বিঘা জমিতে ধান রোপণের জন্য ২বিঘা জমিতে তিন ভাগে সাধারণত ধান ছিটিয়ে, ট্রে-তে ও পলিথিনের উপর মাটি দিয়ে বীজ তলা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। ধান রোপণের জন্য জমি তৈরির কাজ চলছে। রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিনের মাধ্যমে ধান রোপণ করা হবে ও কম্বাইন হারভেস্টার মেশিনের মাধ্যমে কাটা ও ঝাড়াই করা হবে।
এই সমকালীন পদ্ধতিতে হাইব্রীড ধান রোপণ, কাটা ঝাড়াইসহ প্রায় ৬ থেকে ৭হাজার টাকা খরচ করে কৃষকরা তাদের চাষকৃত ধান ঘরে তুলতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফলে চাষীরা বেশি লাভবান হবে।
ইতোমধ্যে যশোর অঞ্চল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক পার্থ প্রতীম সাহা, চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আলি হাসান, দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার মো মনিরুজ্জামান ও চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বীজ তলা পরিদর্শন করেছেন।