দামুড়হুদায় আধুনিক পদ্ধতিতে সমালয় ব্লক প্রদর্শনী বোরো ধানের প্রদর্শনী প্রটের উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই প্রথম দামুড়হুদায় আধুনিক পদ্ধতি ধান চাষ শুরু করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিকাল ৪টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে রাইস প্লান্টার মেশিনের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণের উদ্বোধন করেন।
এ সময় তিনি বলেন, এ দেশের অর্থনীতি মূলত ধান উৎপাদনের উপর নির্ভরশীল। দেশে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে খাদ্য চাহিদা। নতুন নতুন বাড়ী-ঘর, রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, শিক্ষা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠায় কমছে আবাদি জমির পরিমাণ। চাষাবাদযোগ্য জমির পরিমাণ বৃদ্ধির সুযোগ না থাকায় আধুনিক পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদের মাধ্যমে কম খরচে অধিক ফলন বাড়াতে আমাদের উচ্চ ফলন শীল ও আধুনিক পদ্ধতির দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আলী হাসান এর সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুদীপ্ত কোমার সিংহ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মনিরুজ্জামান।
স্বাগত বক্তব্যে কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মনিরুজ্জামান বলেন, দিন দিন আবাদি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে কৃষি শ্রমিকের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। ফলে কৃষিতে শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যাচ্ছে, তাতে করে ধানের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এই কারণে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফার্ম মেশিনারি অ্যান্ড পোস্টহারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগ যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদের লক্ষ্যে খামার যন্ত্রপাতি গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় বিশেষ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।
ধানের উৎপাদন খরচ কমাতে দেশের ৪৯২ উপজেলার মধ্যে ৬১টি উপজেলায় প্রথমবারের মতো এই পদ্ধতিতে চাষ করা হচ্ছে। এর মধ্যে দামুড়হুদা উপজেলা সদরের অদূরে হাউলির ১নং সেচ পাম্পো আওতায় মাঠের ১৫০ বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের এই ধান চাষ করা হবে। এরই মধ্যে তিন ধরনের পদ্ধতিতে বীজতলা ও চারা তৈরির সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল থেকে রোপণ কাজ শুরু করা হলো কয়েক দিনের মধ্যে সমস্ত জমিতে রোপণ কাজ সম্পন্ন করা হবে।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা শফিউল কবির ইউসুফ, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হযরত আলি, দামুড়হুদা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম নুরুন্নবী, ১নং কৃষক সেচ কমিটির সভাপতি ইসমাইল হোসেন, কৃষক সংগঠনের সভাপতি সামসুল ইসলাম।
অনুষ্ঠান শেষে দেশের সবচেয়ে বড় (৪০) বিঘা জমিতে সফল মাল্টা চাষি শাখাওয়াত হোসেন ও ইটার মৌসুম শেষে ঐ জমিতে ধান চাষের জন্য ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি টিটু মিয়াকে সম্মনা সরুপ ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। বীজ তলা তৈরীতে সহায়তা করার জন্য আব্দুর রশিদ, আমিনুল ইসলাম ও সাইদুর রহমানকে পুরস্কৃত করা হয়। এর আগে অতিথিগণের উপস্থিতিতে রাইস প্লান্টার মেশিনের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণের উদ্বোধন করা হয়।