চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় মাথাভাঙ্গা নদীতে অবৈধ বাঁধ উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিলারা রহমান। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার রঘুনাথপুর মাথাভাঙ্গা নদী থেকে এই বাঁধ অপসারণ শুরু করা হয়।
উপজলার সুবলপুর থেকে বাস্তপুর পর্যন্ত প্রায় ১০টি বাঁধ ও কোমর অপসারণ করা হয়। এসময় অবৈধ ভাবে নদীতে বাঁধ দেওয়ায় অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে দন্ডবিধির ১৮৬০ সালের ১৮৮ ধারায় সাইফুল ইসলাম (৩৫) নামে এক জনের সাঁত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালতের বিচারক দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান। সাইফুল ইসলাম দামুড়হুদার সুবলপুর গ্রামের আজগার আলির ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মাথাভাঙ্গা নদীতে অবৈধ ভাবে বাঁধ ও কোমর ঘিরে অবাধে মাছ শিকার করা হচ্ছে। নদীতে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে নদীর স্রোত বাঁধাগ্রস্থ করে মাছ শিকার আইনগতভাবে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নদীতে আড়াআড়িভাবে বাঁধ দেয়ার কারণে স্রোত বাঁধাগ্রস্থ হয়ে পলি পড়ে নদীর তলদেশ ভরাট হচ্ছে।
এছাড়াও মাছের ছোট ছোট পোনা মা মাছ ধরা পড়ার কারণে বিলিন হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ। নদী ও দেশীয় প্রজাতীর মাছ রক্ষার্থে এই অভিযান চালানো হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আয়ুব আলি ও ক্ষেত্র সহকারী হসিবুল হাসান সুজন।