দামুড়হুদার হাতিভাঙ্গা গ্রামের স্কুল ছাত্রী নাবালিকা গৃহবধূ রিপ্তা খাতুন (১৫) বিয়ের প্রায় ৪ মাস পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে সে তার শ্বশুর বাড়িতে নিজ বসতঘরে আত্মহত্যা করে।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রেজানা যায়, পারিবারিক কলহের জেরে স্কুল ছাত্রী নাবালিকা রিপ্তা খাতুন শনিবার সকালে তার বসতঘরে সিলিং ফ্যানের রডের সাথে সকলের অগোচরে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগায়। পরে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে থানা পুলিশ কে খবর দেয়। নিহত গৃহবধু স্কুল ছাত্রী রিপ্তা খাতুন হাতিভাঙ্গা গ্রামের মাঝপাড়ার হাসিবুল হাসানের স্ত্রী। গত ৪ মাস আগে তাদের বিবাহ হয়। নিহত রিপ্তা একই গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে।
স্কুল ছাত্রী ও নাবালিকা গৃহবধূর আত্মহত্যা নিয়ে এলাকার বেশ কিছু মহলের মাঝে গুঞ্জন রয়েছে। নিহত রিপ্তার স্বামীর অপছন্দ ও বিয়েতে তার সম্মতি না থাকায় তাকে তার পরিবার বিবাহ দিয়েছেন। সে কারণেও স্কুল ছাত্রী রিপ্তা আত্মহত্যা করতে পারেন।
নিহতের মা জানিয়েছেন, তার মেয়ের মাথায় সমস্যা ছিলেন। এজন্য তাকে ওঝার কাছে চিকিৎসা দেওয়া হচ্চিল।
নিহতের স্বামী হাসিবুল হাসান জানান, সকালে আমার স্ত্রী আমাকে দুটি ডিম ও গ্যাসলাইট কিনে দিতে বললে আমি সেগুলো কিনে দিয়ে মাঠে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পর আমি খবর পাই সে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল খালেক জানান, দামুড়হুদার হাতিভাঙ্গা গ্রামে গৃহবধু রিপ্তা খাতুনের আত্মহত্যার খবর পাই। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের সুরতহাল রিপোট করে। নিহতের পরিবারের কাছ থেকে জানতে পারি সে এর আগের বেশ কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। তার মাথার সমস্যা ছিলো। কারো কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।