আমন ধানের চাষ হলেও চুয়াডাঙ্গা জেলায় এবার উল্টো চিত্র। আষাঢ় মাস শেষে শ্রাবণের ১৮ দিন পেরিয়ে গেলেও চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টির দেখা নেই বললেই চলে। আকাশে শ্রাবণের মেঘ থাকলেও দেখা দিচ্ছে না কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি। ফলে আমন ধানের চাষ ব্যাহত হচ্ছে। ভরা বর্ষা মৌসুমে ডিপ টিউবওয়েল ও শ্যালো মেশিনে সেচ দিয়ে চলছে আমন চাষ। এতে বেড়ে যাচ্ছে উৎপাদন খরচ।
ভরা বর্ষা মৌসুমেও পানির জন্য হাহাকার চলছে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় । বৃষ্টি না হওয়ায় আমন চাষ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। হাতেগোনা কিছু কৃষক সেচ দিয়ে আমন ধান রোপণ করলেও পানির অভাবে তা মরে যাচ্ছে অনেক জমির ধান।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর দামুড়হুদা উপজেলার ৮ টি ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভায় ৮ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। পানির অভাবে জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে পারেননি কৃষকরা। ভরা বর্ষা মৌসুমেও এসব এলাকায় কাক্সিক্ষত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কৃষক ধান রোপণ করতে পারছেন না।
উপজেলার কুড়ুলগাছি আদর্শ কৃষক সমবায় সমিতির লি : কৃষক রফিকুল ইসলাম, এনামুল হক ও জাহাঙ্গীর আলম জানান, আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসে সাধারণত বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভর করে কৃষক আমন চাষে নামেন। এ কারণে এ আবাদে তাদের সেচ খরচ কম হয়। কিন্তু এ বছর বর্ষাকালে (আষাঢ় ও শ্রাবণ) বৃষ্টির দেখা না পেয়ে তারা হতাশ হয়ে পড়েছেন। পানির জন্য হাহাকার চলছে। বৃষ্টির অভাবে তারা এখনো আমনের চারা রোপণ করতে পারেননি। তবে গত দুদিনের সামান্য বৃষ্টিপাতে তাদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। তাই তারা আমন আবাদে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
কৃষক আরিফুল ইসলাম বলেন, এ বছর আট বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করব। কিন্তু বৃষ্টির পানির অভাবে চারা রোপণ করতে পারছি না।
এ বিষয়ে মান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন বলেন, শুধু মান্দায় নয়; প্রয়োজনীয় বৃষ্টির অভাবে সারাদেশে আমন আবাদে এ অবস্থা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে আমরা কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছি। তবে আমন মৌসুমের ধান রোপণের সময় খুব বেশি পিছিয়ে যায়নি। আগস্ট মাসের শেষ পর্যন্ত রোপণ করা যাবে।
পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়ে যাবে বলে আশা করে তিনি আরো বলেন, আমন আবাদ নিয়ে কৃষকের পাশাপাশি কৃষি অফিসও চিন্তায় রয়েছে। চলতি মাসে বৃষ্টি হলেই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। এরই মধ্যে কৃষক সেচের মাধ্যমে আমন ধানের চারা রোপণ শুরু করেছেন।