দামুড়হুদায় যথাযথ মর্যাদায় শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন পালন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মা, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়। ১৯৩০ সালের ৮ আগষ্ট গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে রবিবার সকাল ১০ টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন। এরপর শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধারা, উপজেলা আঃলীগ, দামুড়হুদা প্রেসক্লাব, দামুড়হুদা মডেল থানা, দর্শনা থানা, উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর। পুষ্পস্তবক শেষে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের সন্মানে এক মিনিট নিরাবতা পালান করে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
দোয়া অনুষ্ঠান শেষে উপজেলা পরিষদ সন্মেলন কক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের আযোজনে আলোচনা সভা ও সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ৬ জন অসহায় নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুদীপ্ত কুমার সিংহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলি মুনসুর বাবু।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আঃলীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, সাধারণ সম্পাদক মাহাফুজুর রহমান মঞ্জু,উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা’র সাবেক কমান্ডার আছির উদ্দিন,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা খাতুন,দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক, দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাবুবুর রহমান কাজল,দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম নুরুন্নবী, সদর ইউনিয়ন আঃ লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল কবীর ইউসুফ, উজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি হাজী আঃ কাদির, উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আঃ মতিন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাকি সালাম, উপজেলা সমবায় অফিসার হারুন অর রশিদ, উপজেলা নির্বাচন অফিসার ইসহাক, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আইয়ূব আলী, উপজেলা আনসার ও জিডিপি প্রশিক্ষক চায়না খাতুন প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন,শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন একজন আদর্শ ও নীতিবান নারী।সবসময় স্বামীর রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি সঙ্কটে পরামর্শ দিয়ে পাশে থেকেছেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের যে কোনো বিপদে-আপদে পাশে থেকে সবসময় জুগিয়েছেন সাহস।যিনি ১৯৩০ সালের এই দিনে (৮ আগস্ট) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাত্রিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তিন ছেলে, দুই পুত্রবধূ, আত্মীয়-স্বজনসহ দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে তিনি শাহাদতবরণ করেন।শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব দেশের মানুষের কাছে বঙ্গমাতা হিসেবে পরিচিত। মাত্র ৩ বছর বয়সে তিনি বাবা শেখ জহুরুল হক ও ৫ বছর বয়সে মা হোসনে আরা বেগমকে হারান। তাঁর ডাক নাম রেনু।
ফজিলাতুন্নেছার দাদা শেখ কাসেম কশোরী বয়সেই তাঁকে বিয়ে দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে। বয়স কম থাকার কারণে শাশুড়ি (বঙ্গবন্ধুর মা) সাহেরা খাতুন ফজিলাতুন্নেছাকে নিজের সন্তানদের সঙ্গে মাতৃস্নেহে লালন-পালন করেন। গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে তিনি প্রাথমিক লেখাপড়া করেন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক প্রেরণা, শক্তি।