দামুড়হুদা উপজেলা জুড়ে লকডাউনের শনিবার ছিলো ৫ম দিন। প্রশাসনের ভূমিকা ছিলো অন্যান্য দিনের মতোই নজরকারা। রাস্তায় রাস্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর উপস্থিতি ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধে অর্থদন্ড আদায় ও বিভিন্ন রাস্তার প্রবেশদ্বার গুলো ছিলো বড় বড় গাছের গুড়ি ও বাঁশ বেঁধে ব্যারিকেড দেয়া।
শনিবার লকডাউনের ৫ম দিনেও সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ছিলো আষাঢ়ের রিমঝিম বৃষ্টি, বৈরী আবহাওয়া। তবে মানুষের রাস্তায় চলাচলে ছিলো অন্যান্য দিনের থেকে অনেক বেশী সচেতনতা। লকডাউন বাস্তবায়নে সাধারন মানুষের মাঝেও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে কাঁচা বাজারে চলাচল করতে দেখা গিয়েছে।
গতকাল চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন নজরুল ইসলাম সরকার একটি গণ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনকে বেশ কয়েকটি নির্দেশ দিয়েছেন। এগুলো হলোঃ সকল প্রকার গণপরিবহ, রিক্সা, ভ্যান, সিএজি, ইজিবাইক, বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল চলাচল সম্পুর্ণ বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র জরুরী পরিবহন যেমনঃ ঔষধ, কাঁচামাল, কৃষিপণ্য, নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য সরন্জাম সংগ্রহকারী পরিবহন চলবে, সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং সেবা আওতামুক্ত থাকবে। সকল পানের হাট ও গরুর হাট সম্পুর্ণ বন্ধ থাকবে। হোটেল, রেস্তোরা সন্ধা ৭-৩০ পর্যন্ত খাদ্য বিক্রয় ও সরবরাহ করতে পারবে। চায়ের দোকান সহ সমস্ত শপিংমল সম্পুর্ণ বন্ধ থাকবে। দূরপাল্লার সকল বাস চুয়াডাঙ্গা টার্মিনাল থেকে যাত্রী ওঠাবে এবং নামাবে। সকল প্রকার ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান, সামাজিক, রাজনৈতিক, পর্যটন, বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। এ আদেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
অপরদিকে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান লকডাউন বাস্তবায়নে গতকালও সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা মনিটরিং করেছেন। কখনো গাড়ীতে চড়ে আবার কখনো পায়ে হেঁটে মানুষের মাঝে সচেতনতার বার্তা পৌঁছেদেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান সহ ৪ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধে কয়েক জনকে অর্থদন্ডও প্রদান করেন। এদিকে গতকালও সীমান্তে বিজিবির ভূমিকা ছিলো কঠোর।
অন্যদিকে গতকাল দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আঃ খালেক ও দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমানের নির্দেশে পুলিশ কঠোর ভূমিকা পালন করেন। আনসার বাহিনীর সদস্যসহ ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশের ভূমিকাও ছিলো প্রশংসনীয়।