নাগরিকত্ব আইন ভঙ্গ করায় নেপালের উপপ্রধানমন্ত্রী রবি লামিচানেকে সব দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। গতকাল শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) এই নির্দেশ দেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। আল–জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৪৮ বছর বয়সী রবি লামিচানে নেপালের নতুন সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী এবং একই সঙ্গে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছিলেন। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্বৈত নাগরিকত্ব সংক্রান্ত ঝামেলায় জড়িয়ে পদ থেকে অপসারিত হয়েছেন রবি লামিচানে।
নাগরিকত্ব আইন ভঙ্গ করায় নেপালের উপপ্রধানমন্ত্রী রবি লামিচানেকে সব দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
নাগরিকত্ব আইন ভঙ্গ করায় নেপালের উপপ্রধানমন্ত্রী রবি লামিচানেকে সব দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
গত ২৬ ডিসেম্বর নেপালের উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। এর ঠিক মাসখানেকের মাথায় তার বিরুদ্ধে এমন রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। রবি লামিচানে নেপালের এক সময়ের জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক।
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত একটি সরাসরি অনুষ্ঠান টানা ৬২ ঘণ্টা উপস্থাপনা করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম উঠেছিল তার। পরে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান তিনি। সেখানেই বসবাস করতেন। পরবর্তী সময়ে দেশে ফিরে নিজের জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় হন।
রবি লামিচানে নেপালের রাষ্ট্রীয় স্বতন্ত্র পার্টির প্রতিষ্ঠাতা। গত বছরের জুনে রাজনৈতিক এই দল গঠন করা হয়। এবারের নির্বাচনে দলটি ১৯টি আসনে জয় পেয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে নেপালে রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটাতে জোট সরকার গঠন করা হয়, তাতে যোগ দেয় দলটি।
প্রধানমন্ত্রী হন দেশটির বর্ষীয়ান রাজনীতিক পুষ্পকমল দহল প্রচণ্ড। উপপ্রধানমন্ত্রী পদে বসেন রবি লামিচানে। এক সময় রবি দেশ ছেড়ে স্থায়ী বসবাসের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিয়েছিলেন। যদিও ২০১৮ সালে তিনি মার্কিন নাগরিকত্ব ছেড়েছেন।
পরবর্তী সময়ে দেশে ফিরে রাজনীতিতে যোগ দেন। তবে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, অন্য দেশের নাগরিকত্ব ছাড়তে রবি যথাযথ প্রক্রিয়া মানেননি। দেশে ফেরার পর তিনি নেপালের নাগরিকত্বের জন্য পুনরায় আবেদন করেননি। তাই তার নেপালি নাগরিকত্বের বৈধতা নেই। নেপাল দ্বৈত নাগরিকত্ব অনুমোদন করে না। এ পরিস্থিতিতে তার নির্বাচনে অংশ নেওয়া, গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদে বসা বৈধ হয়নি।
সূত্র: ইত্তেফাক