সালাউদ্দিন আহমেদ। ঢাকা-৫-এর আসন্ন উপনির্বাচনে নৌকার টিকিট পেতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম তুলেছেন। তার রাজনৈতিক পরিচয়, বাবা একসময় আওয়ামী লীগ নেতা ছিলেন। এটাই তার পুঁজি। নিজে আওয়ামী লীগ বা সহযোগী সংগঠন কোথাও নেই। তার পরও হতে চান রাজধানীর একটি আসনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের একজন আইনপ্রণেতা।
একইভাবে ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে নৌকার টিকিট চান জিন্নাত আলী। তার রাজনৈতিক পরিচয়, তিনি ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ‘সাবেক’ সদস্য। একই আসনে নৌকার প্রার্থী হতে চান হাজী বিল্লাত আলী আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মোহাম্মদ। নরসিংদীর এক উপজেলা নেতা মোজাম্মেল হকও হতে চান সাহারা খাতুনের উত্তরসূরি। আজ বিকালে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে পাঁচটি শূন্য আসনে প্রার্থী তালিকা করা হবে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরা অংশ নেবেন।
শুধু এ চারজন নন, ঢাকা-৫ ও ঢাকা-১৮ আসনে সর্বমোট ৭৬ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম তুলেছেন, যার অধিকাংশই মৌসুমি পাখির মতো। সংসদ সদস্য হতে হলে যে যোগ্যতা প্রয়োজন, দলে যে ভূমিকা থাকা দরকার তার ছিটেফোঁটাও নেই। এখন দলের সুসময় তাই দলের মনোনয়ন চান, কিন্তু দুর্দিনে তাদের দেখা মেলেনি। ওয়ান-ইলেভেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ে আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে নেই তাদের কোনো ভূমিকা। আওয়ামী লীগ করেননি, অন্য দল থেকে সদ্য যোগ দিয়েও মনোনয়নপ্রত্যাশী।
একটি উচ্চমাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে শিক্ষকতা করেও যেমন প্রার্থী হতে চান, তেমনই মুদির দোকান পর্যায়ের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীও মনোনয়ন চেয়েছেন। দলীয় নেতা-কর্মীরা বলছেন, তৃণমূল পর্যায়েও নেতা-কর্মীদের হাতে নগদ টাকা আছে। তাই নৈতিক অবক্ষয়ের পরোয়া না করে আওয়ামী লীগের এই নেতারা ৩০ হাজার টাকা দিয়ে একটি দলীয় ফরম সংগ্রহ করে এলাকায় ‘নাম ফোটাতে’ চাইছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, একেকটি আসনে এত প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি খুবই লজ্জাজনক। এটি চরম সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলারই দৃষ্টান্ত। সবাই এমপি হতে চাওয়ার এ প্রবণতা দুঃখজনক। সবাই সবকিছু পেতে চায়। ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্যও এটা অশুভ। ঢাকার সাংগঠনিক শৃঙ্খলা থাকলে এক আসনের যোগ্য সর্বোচ্চ দুই থেকে তিনজন মনোনয়ন চাইতে পারে। ‘ফ্রিস্টাইলে’ মনোনয়ন ফরম তোলা শৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে না।
এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘একটা দেশের রাজনীতি ক্ষয়িষ্ণু পর্যায়ে থাকলে যা হয়। যারা সংসদীয় রাজনীতি করেন, নেতৃত্বে কারা আসবেন তৃণমূল থেকে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। এ চর্চা যখন অনুপস্থিত থাকে তখন এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। আর এখন সবাই জানে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে না। সে কারণে দলের নিম্ন পর্যায়ের নেতারাও ভাবেন, মনোনয়ন পেলেই জিতে যাব।
এখনই এ প্রবণতা একেবারে নিঃশেষ করা প্রয়োজন। যাদের সততা, যোগ্যতা ও দলের প্রতি আনুগত্য আছে তাদের মনোনয়ন দিলে সমস্যার সমাধান হবে।’ তিনি বলেন, ‘এখন থেকেই আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত যে, দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ও ত্যাগী ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিতে হবে। এটা না করে হঠাৎ উড়ে এসে জুড়ে বসে গার্মেন্ট ব্যবসায়ী কিংবা অটোমোবাইলের ব্যবসায়ীকে মনোনয়ন দেওয়া হলে দলের ভিতরে সংকট সৃষ্টি হবে।’
অতীতে ঢাকার দুই আসনের উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের ফরম পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তারা সবাই দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। এদের কেউ কেউ ২০০১ সালের পর চরম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। কেউ কেউ ওয়ান-ইলেভেনের সময় আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে মুক্ত করতে ভূমিকা রেখেছেন। এ দুই আসনের নেতা-কর্মীরা বলছেন, অনেক প্রার্থীই তাদের মনোনয়নপত্রে ভুল তথ্য সংযোজন করেছেন।
কারণ, ১০ বছর আগেও যারা বিএনপি-জামায়াত করতেন তারাও এখন এ দুই আসনে দলীয় মনোনয়ন চান। আবার এক দিনও রাজনীতির মাঠে না থেকে এখন ত্যাগী নেতা সেজেছেন। দলটির ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতারা প্রশ্ন তুলেছেন- দুঃসময়ে এত প্রার্থী কোথায় ছিল? দল ক্ষমতায় আছে বলেই তারা নির্বাচনী এলাকায় ত্রাণ বিতরণ, দানবীর সাজার চেষ্টা করছেন।
সূত্রমতে, শূন্য হওয়া পাঁচটি আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে হাইব্রিড ও সুবিধাবাদীদের ছড়াছড়ি। ত্যাগীর সংখ্যা হাতে গোনা। মনোনয়ন চেয়ে দলীয় ফরম কিনেছেন এমন অনেকেই নিজ নিজ এলাকায় অচেনা। মনোনয়নপ্রত্যাশীরা কবে কোথায় কীভাবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তা অনেকেই জানেন না। শূন্য হওয়া ঢাকা-১৮ আসনে ৫৬ জন মনোনয়নপ্রত্যাশীর ফরম কেনা দেখে খোদ দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও হতবাক। এমনকি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বিস্মিত হয়েছেন তালিকা দেখে। এসব প্রার্থীর অনেকে ছাত্রজীবনে অন্য দল করলেও আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্রে সে তথ্য তুলে ধরেননি।
জানা যায়, কেউ কেউ ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপির মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তারাও এখন উপনির্বাচনে আওয়ামী প্রার্র্থী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে। আবার কেউ কেউ ‘ডামি’ প্রার্থী হিসেবেও দলের মনোনয়নপত্র কিনেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মনে প্রশ্ন উঠেছে- দলের দুঃসময়ে এত প্রার্থী ছিল কোথায়? এদের অনেককেই ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দেখা যায়নি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর হঠাৎ নেতার সংখ্যা বেড়ে গেছে। এক আসনে এত এত লোক প্রার্থী হতে আগ্রহী, এতে অস্বস্তি বোধ করছে আওয়ামী লীগ।
প্রয়াত এমপি সাহারা খাতুনের আসনে ৫৬ জন মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে রয়েছেন ঢাকা মহানগরী আওয়ামী লীগ, বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের সভাপতি-সম্পাদক ছাড়াও ইউনিট সদস্য, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগের সাবেক ও বর্তমান নেত্রী, সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক সচিব, ব্যবসায়ী, পুলিশের সাবেক ডিআইজি, সাবেক জেলা জজ, চিকিৎসক, শিক্ষক ও কাউন্সিলর। নির্বাচনী এলাকার প্রার্থী নন, এমন ব্যক্তিও দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এমন প্রার্থীও আছেন যাদের নাম কেউ জীবনে শোনেনইনি। ৫৬ মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে ব্যবসায়ীর সংখ্যাই বেশি। রাজনীতিকের সংখ্যা তুলনামূলক কম।
সূত্রমতে, আওয়ামী লীগের মতো ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দলের এ ধরনের পরিস্থিতি এবারই প্রথম। বিশেষ করে ঢাকার উত্তরার আসনে ৫৬ জনের দলীয় মনোনয়ন ফরম কেনায় সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার মানুষেরও চোখ ছানাবড়া। অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ হয়েছে। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনায় একটি আসনে ৫২ জন দলীয় মনোনয়নপত্র কিনে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন। মনোনয়নপ্রত্যাশীর অনেকেরই ছাত্রজীবন থেকে এ পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক পটভূমি নেই।
অভিযোগ উঠেছে, এসব প্রার্থীর অনেকের পারিবারিক রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই। সুসময় ও দুঃসময়ে কখনো তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করার রেকর্ড নেই। প্রশ্ন উঠেছে- কোন যুক্তিতে এরা প্রার্থী হতে চান? এদের লক্ষ্য সংসদ সদস্য হওয়া, নাকি আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ? সূত্রমতে, ঢাকার দুটি আসনে এমন অনেকেই মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন, যাদের এলাকার লোকজনই চেনেন না। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেকেই মনোনয়ন চাইছেন। অনেক ব্যবসায়ীও এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান। অনেকেই মনে করছেন নৌকা প্রতীক পেলেই এমপি নিশ্চিত।
কোনোমতে এমপি পদ বাগিয়ে রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার চিন্তা থেকে সবাই প্রার্থী হতে চাচ্ছেন। ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন মেহেদী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আবদুল হাফিজ মল্লিক, যুব মহিলা লীগ সভাপতি ও সংরক্ষিত নারী আসনে সাবেক সংসদ সদস্য নাজমা আকতার, ঢাকা মহানগরী উত্তর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের খান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহসভাপতি মতিউর রহমান, বিমানবন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহজাহান আলী মন্ডল, উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মজিবুর রহমান,
যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আবুল বাশার, ভাসানটেক থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মো. ইয়াজ আলী ফকির, ডিএনসিসির ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম মোল্লা, উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি মনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী রবিন, ব্যবসায়ী এম এ রাজ্জাক খান, উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য মুনতাজুল করিম, ঢাকা মহানগরী উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. খসরু চৌধুরী, আওয়ামী লীগ উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক নাজমুল হক বাবু, সাবেক সচিব মোহাম্মদ মুসা, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি এস এম মাহফুজুল হক নূরুজ্জামান, মহিলা লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ রেবেকা বেগম, ঢাকা মহানগরী উত্তর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিন, সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা এম এ মোফাজ্জল হোসেন, ঢাকা মহানগরী যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন, উত্তরখান থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি কামাল উদ্দিন,
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আফসার উদ্দিন খান, সাবেক উত্তরখান ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক নির্মল ডি কস্তা, খিলক্ষেত থানা যুব মহিলা লীগ সভাপতি নাজমা আক্তার, নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মোজাম্মেল হক, ভাটারা থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি ইসহাক মিয়া, উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান, ঢাকা মহানগরী উত্তর যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ডি এম শামীম, ঢাকা মহানগরী উত্তর আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মো. হাবিব হাসান, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মোহা. কবির হোসাইন,
খিলক্ষেত থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি কেরামত আলী দেওয়ান ও সাধারণ সম্পাদক আসলাম উদ্দিন, সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগরী উত্তর আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম, ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য আবদুল ওয়াদুদ, চাঁদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্মসম্পাদক আমিনুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য কাজী খলিলুর রহমান, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখা স্বাচিপের সভাপতি ডা. সাব্বির আহমেদ খান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মাহমুদ সাজ্জাদ, তেজগাঁও থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য এস এম হোসাইন, উত্তরা পূর্ব থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি কুতুব উদ্দিন আহমেদ ও সহসভাপতি রহিমুল হক, মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নাসিমা ফেরদৌস,
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সাবেক সদস্য মোজাম্মেল হোসেন মাতুব্বর (আমিনুল), ভাটারা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান, ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য জিন্নাত আলী, উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি শেখ মামুনুল হক, যুবলীগ নেতা হৃদয় চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মো. রেজাউল করিম, হাজী জিন্নাত আলী আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মোহাম্মদ, ঢাকা মহানগরী উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ ওয়ালী আল কাদির, সাবেক দক্ষিণখান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মফিজউদ্দিন আহমেদ, ফরিদপুর কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শামীম রেজা ও উত্তরা পূর্ব থানা আওয়ামী লীগের সদস্য (প্রস্তাবিত) এস ফয়সাল আহমেদ।
ঢাকা-৫ আসনে যারা মনোনয়ন ফরম তুলেছেন তারা হলেন- ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রয়াত এমপি হাবিবুর রহমান মোল্লার বড় ছেলে মশিউর রহমান সজল, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের (একাংশ) সভাপতি হারুন উর রশিদ সিআইপি, রমনা থানা আওয়াী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক এম এ কাশেম, যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক হারুনর রশিদ মুন্না, সভাপতি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, ৭০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক চৌধুরী সাইফুন্নবী,
আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর সাবেক এপিএস ড. আওলাদ হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগ সভাপতি নুর ইসলাম মোল্লা, দলের আন্তর্জাতিক উপকমিটির সদস্য নেহরিন মোস্তফা দিশি, ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, ডেমরা নাট্যকলা একাডেমির উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবদুর রাকিব ভুইয়া, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, ডেমরা থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম খান, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সদস্য বশির আহমেদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদের ঢাকা মহানগরী সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, ঢাকা দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, আওয়ামী লীগ নেতা শওকত আলীর ছেলে সালাউদ্দিন আহমেদ, যুবলীগ মহিলা লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক নাদিরা পারভীন।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘একটি আসনের উপনির্বাচনে ৫৬ জনের মনোনয়নপত্র ওঠানোটা “অসুস্থ” প্রতিযোগিতা। দলীয় মনোনয়ন পেতে এত লোকের ভিড় করার দরকর নেই। যারা দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত, ত্যাগী ও সর্বজনগ্রহণযোগ্য তাদেরই মনোনয়নপত্র তোলা উচিত। গয়রহ তোলা দুঃখজনক। এটা মিছে সোনার হরিণের পেছনে ছুটে চলা ছাড়া কিছুই নয়।’