ভালোবাসার প্রতীকের আরেক নাম ফুল।সে যে কোন ফুলই হোকনা কেন? প্রিয়তমার গলায় মালা কিংবা খোঁপায় ভালোবেসে ফুল গুঁজে দেয়ার সৌন্দর্য-অনুভূতি অনন্য। সব ধরনের শুভ কাজেও ফুলের ব্যবহার রয়েছে আমাদের দেশে অনেক। তবে মানুষভেদে ফুলের পছন্দের তারতম্য দেখা যায়। কেউ গোলাপ, কেউ হাসনাহেনা, কেউবা গ্রামবাংলার মেঠো পথের ধারে ফোটা অজানা ফুলের ভালোবাসায় মুগ্ধ হন। তবে যে ফুল কয়েক বছরে একবার ফোটে, সেই ফুল নিয়ে সবার কৌতূহল থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তেমনই একটি ফুলের নাম হলো- নাইট কুইন।
মিষ্টি মনোহরিণী সুবাস, দুধসাদা রং, স্নিগ্ধ ও পবিত্র পাপড়ি আর সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে এই ফুল পরিচিত। রাতের আঁধারে নিজের সৌন্দর্য মেলে ধরে সকাল হওয়ার আগেই ঝরে পড়ে নাইট কুইন। তাই এই একটি ফুলের জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয় ফুলপ্রেমীদের। আমাদের দেশে দুর্লভ প্রজাতির ফুল হিসেবেই গণ্য করা হয় নাইট কুইনকে।
এক রাতে এই দুর্লভ এই নাইট কুইন ফুলের দেখা মিলল কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার ছাদবাগন মালিক ডা: আসমান আলীর লাগানো টবে মাত্র দুই মাস আগে একটি টবে এ গাছটি লাগান তিনি। মাত্র দুই মাস পরিচর্যা করেই তিনি এ ফৃুলের দেখা পেয়েছেন।
নাইট কুইন ফুলটির পরিপূর্ণ রূপ দেখতে আগ্রহী ছিলেন আসমান আলীল শুভাকাঙ্খীরা।
রাত থেকে ফুলটি দেখতে আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে শিক্ষার্থীরা। রাত ১০টায় অপেক্ষার অবসান ঘটে। নিজের রূপের বাহার নিয়ে নাইট কুইন পরিপূর্ণভাবে পাপড়ি মেলে দেয়।
উপস্থিতদের তখন ফুলটি নিয়ে সেলফি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ওবাইদা আল মাহাদী জানান, বিরল ক্যাকটাস জাতীয় এ ফুলটির বৈশিষ্ট্য অন্যান্য ফুলের তুলনায় একটু আলাদা। বছরের মাত্র একদিন এবং মধ্যরাতে পূর্ণ বিকশিত হয়। আর শেষরাতেই জীবনাবসান ঘটে। আমি এই নাইট কুইন ফুলেল এমস গল্প শুনেছি। কিন্তু কখনো দেখার সুযোগ হয়নি।রাতে শোনামাত্রই আমি এই নাইট কুইন দেখতে এসেছি। অনেক ভালো লাগলো ফুলটি দেখে।
আসমান আলী বলেন, আমার ছাদে অন্তত শতাধীক ফুল ও ফলের চারা রয়েছে। তবে এই নাইট কুইনের ভীষন ইচ্ছা থাকলেও সংগ্রহ করতে অনেক দেরী হয়ে গেছে।
‘নাইট কুইন খুবই দুষ্প্রাপ্য ফুল। সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে মাস দুয়েক আগে আমার এক বন্ধু সংগ্রহ করে এই গাছটি দিয়েছিলেন। বহু দিনের সখ ছিল নাইট কুইন ফুল ফোটানো।আল্লাহ সে আশা পূরণ করেছে।গত রাতে আমার ছাদ বাগানে ফুটেছে এ ফুলটি।
তিনি বলেন, আমার এক আত্মিয় বারো বছর ধরেও কোন ‘নাইট কুইন’ ফুল ফোটাতে পারিনি। আমার কপালে ছিলো তাই দুই মাসেই ফুল ফোটাতে পেরেছি।ফুলের সৌন্দর্য আমাকে খুব আকৃষ্ট করে। শুধু ফুলই নয়, আমার বাড়ীর ছাদে ফুল ও ফলের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সবজির আবাদ করেও আমি নিজেকে তৃপ্ত মনে করি।