কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় সন্ত্রাসী হামলায় মাহবুব খান সালাম (৩৮) নামের জাতীয় যুবজোটের এক নেতা নিহত হয়েছেন।
নিহত মাহবুব খান সালাম উপজেলার আমদহ বোডপাড়া গ্রামের আলাউদ্দিন খানের ছেলে। সে জাসদের সহযোগী সংগঠন জাতীয় যুবজোটের দৌলতপুর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১১ মে) দিবাগত রাত দুইটার দিকে মৃত্যু হয় তাঁর।
এর আগে উপজেলার আল্লার দরগা বয়েন মোড়ে রাত ১১টার দিকে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে দূর্বৃত্তরা।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে ভ্যানে করে আল্লার দরগা বয়েন মোড়ে পৌঁছালে মাহবুবকে জোর করে নামিয়ে রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে সন্ত্রাসীরা। এ সময় মাহবুবের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মাহবুবের হাত-পায়ের রগ কাটা অবস্থায় ছিল। এ ছাড়া শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন ছিল।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান জানান, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। নতুন করে সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া হত্যার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশি অভিযান চলছে।
এরই মধ্যে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে জানিয়েছেন ওসি।
এদিকে, মাহবুব খান সালাম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় যুবজোটের সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকন এবং সাধারণ সম্পাদক শরিফুল কবির স্বপন। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।