বিশ্ব চলচ্চিত্রের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার অস্কারের ৯৭তম আসর বসতে যাচ্ছে ২০২৫ সালের ২ মার্চ। তবে আসরটিকে সামনে রেখে এরইমধ্যে নীতিমালা বদল করেছে অস্কার কমিটি। সেসব নতুন নীতিমালা অনুমোদন দিয়েছে বোর্ড।
নীতিমালায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আসা চলচ্চিত্রকে এখন পরিবর্তিত শর্ত পূরণ করতে হবে। বড় পরিবর্তন এসেছে অরিজিনাল স্কোর ক্যাটাগরিতে। বিভাগটিতে এখন থেকে সর্বোচ্চ ৩ জন ব্যক্তি পর্যন্ত পদক গ্রহণ করতে পারবেন। পাশাপাশি শর্টলিস্ট বাড়িয়ে ২০টিতে উন্নীত করা হয়েছে। অন্যদিকে মহামারির প্রাদুর্ভাবের সময় স্ট্রিমিং কিংবা ভিডিও প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাওয়া সিনেমাও অস্কারের যোগ্য বিবেচনা করা হয়েছে। তবে এখন সেই নীতি থেকে সরে এসেছে বোর্ড। বেস্ট পিকচার বিভাগে প্রতিযোগিতার জন্য চলচ্চিত্রটিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ ৭টি অঞ্চলে কমপক্ষে ৭ দিন চলতে হবে।
এছাড়া প্রাথমিক মুক্তির পরই দেশের শীর্ষ ৫০টি অঞ্চলের মধ্যে অন্তত ১০টিতে টানা ৪৫ দিন থাকতে হবে। বছরের শেষদিকে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রাখা সিনেমাগুলো যে তাদের প্রত্যাশিত সময়ের আগেই প্রেক্ষাগৃহে যাবে, এর নিশ্চয়তা দিতে হবে। যেন সব শর্ত পূরণ হয় ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ সালের মধ্যেই। এর বাইরে স্ক্রিনপ্লে ক্যাটাগরির জন্য চূড়ান্ত শুটিং স্ক্রিপ্ট জমা দেওয়া এখন থেকে বাধ্যতামূলক। অ্যানিমেটেড ফিল্মগুলো এখন থেকে ইন্টারন্যাশনাল ফিচার ক্যাটাগরিতেও প্রতিযোগিতা করতে পারবে।
এর সঙ্গে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা হয়েছে গভর্নরস অ্যাওয়ার্ডসের ক্ষেত্রে। সবিশেষ অস্কারের দু’টি অ্যাওয়ার্ড ‘সায়েন্টিফিক ও টেকনিক্যাল অ্যাওয়ার্ডস’ হিসেবে পরিবর্তিত হয়েছে। আগের গর্ডন ই সয়্যার এখন থেকে সায়েন্টিফিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড হিসেবে পরিচিত হবে। জন আ বোনার অ্যাওয়ার্ড পরিচিত হবে সায়েন্টিফিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড হিসেবে।