শেষ ওভার পর্যন্ত জয়ের সম্ভাবনা জিইয়ে রেখেছিল ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। শেষ ৬ বলে দরকার ছিল মাত্র ৮ রান। অর্থাৎ জয়ের পাল্লা দুইদিকেই সমান।
এমন রোমাঞ্চকর আর উত্তেজনায় ঠাসা শেষ ওভারে হাসি ফুটল শাহিন আফ্রিদির মুখে। শাদাব খানের দলকে হারাল লাহোর কালান্দার্স। শুধু জয়ই পায়নি; এবারের পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ফাইনালে উঠল আফ্রিদির লাহোর।
দলকে ফাইনালে তোলার নায়ক দক্ষিণ আফ্রিকা ছেড়ে নামিবিয়ার নাগরিকত্ব নেওয়া ডেভিড ওয়াইজ। তার অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সের সুবাদে
এই অলরাউন্ডারের দুরন্ত পারফরম্যান্সে ইসলামাবাদকে ৬ রানে হারাল লাহোর। ৮ বলে ২৮ রানের পর বল হাতে ২০ রানে ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন ওয়াইজ।
শুক্রবার রাতে অনুষ্ঠিত পিএসএলের এলিমিনেটর টুয়ের গোটা ম্যাচটাই ছিল উত্তেজনায় পরিপূর্ণ। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৬৮ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করায় লাহোর। যদিও শুরুতেই ইসলামাবাদের বোলার ডওসনের জোড়া আঘাতে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল।
যথাক্রমে ১ ও ২ রানে ফেরেন দুই ওপেনার ফখর জামান ও ফিল সল্ট। ৭ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারায় তারা। সেখান থেকে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন আবদুল্লাহ শফিক। মাকসুদের বলে আউট হওয়ার আগে ২৮ বলে ৫২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। তার দুই সঙ্গী কামরান গুলাম ও মোহাম্মদ হাফিজ দুজনেই দুটি ক্যামিও ইনিংস খেলেন। গুলাম আউট হন ৩০ রানে ও হাফিজ খেলেন ২৮ বলে ২৮ রানের ইনিংস।
এ তিন ব্যাটারের দারুণ তিন ইনিংসের পরও দেড়শ রান ছাড়ানো পুঁজিটা হতে পারত না লাহোরের। ১৯ ওভার শেষে তাদের বোর্ডে ছিল ৭ উইকেটে ১৪১ রান। এমন মুহূর্তে ওয়াকাস মাকসুদের করা শেষ ওভারে ৩ ছক্কা আর এক বাউন্ডারি হাঁকান ডেভিড ওয়াইজ। ওই ওভারে তিনি তুলে নেন ২৭ রান।
ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রানে গিয়ে থামে লাহোর। ১৬৯ রানের তাড়ায় শুরুটা লাহোরের চাইতে অনেক ভালো করেছিল ইসলামাবাদ। অ্যালেক্স হেলস খেলেন ২৯ বলে ৩৮ রানের দারুণ এক ইনিংস।
এরপর আজম খানের ২৮ বলে ৪০ রানের ঝড়ো ইনিংস জয়ের বন্দরের কাছাকাছি নিয়ে যায়। আজম রানআউট হলে কিছুটা স্বস্তি আসে লাহোর শিবিরে। তবুও আর আসিফ আলির ব্যাটে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল ইসলামাবাদ। ২২ বলে ২৫ করেন তিনি। তাকে হারিস রউফ ফেরালে জয়ের আশার আলো কিছুটা স্তিমিত হয়ে যায় ইসলামাবাদের। তবুও শেষ হাসি ফুটবে কাদের মুখে তা বলা মুশকিল ছিল।
শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল মাত্র ৮ রানের। কিন্তু ওয়াইজ তা হতে দেননি। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে ইনিংসের ২ বল বাকি থাকতে ইসলামাবাদ আর ১ রান যোগ করে অলআউট হয় ১৬২ রানে।