পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে এখনও বিজেপির মনোনয়ন পাননি অভিনেত্রী শ্রাবন্তী। কিন্তু তার আগে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করলেন তিনি!
সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় বিজেপি প্রার্থী অশোক ডিন্ডার সমর্থনে সভা করেন শ্রাবন্তী। সেখানেই নিজের প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করেন টালিউডের জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, বিধানসভা ভোটে শ্রাবন্তীর সহকর্মীদের অনেকেই প্রার্থী হয়েছেন। তবে প্রার্থী হিসেবে তার নাম এখনও ঘোষণা হয়নি। তার আগেই অভিনেত্রী নিজেকে বিজেপির প্রার্থী ঘোষণা করলেন! এমনকি জনগণের থেকে আগাম আশীর্বাদও চেয়েছেন।
তবে কোন কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হবেন তা অবশ্য জানাননি শ্রাবন্তী।
বিজেপির হয়ে প্রথম নির্বাচনি সভায় শ্রাবন্তী বলেন, ‘এত দিন আমি অভিনয় করতাম। এখন আমার রাজনৈতিক জীবনে পথচলা শুরু হয়েছে। আমিও হয়তো খুব শিগগিরই প্রার্থী হতে চলেছি। আপনাদের আশীর্বাদ চাইছি, আপনারা আশীর্বাদ করবেন।’
এ সময় বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিজের রাজনৈতিক অভিভাবক হিসেবে পাশে চেয়েছেন তিনি।
নীলবাড়ি দখলের লড়াইয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের সব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিজেপি। তারা প্রথম চারটি দফার ভোটের প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করেছেন।
সেই তালিকায় অঞ্জনা বসু, পায়েল সরকার, হিরণ চট্টোপাধ্যায় ও যশ দাশগুপ্তের মতো টালিউডের তারকারা রয়েছেন। কিন্তু শ্রাবন্তীর নাম এখনও পর্যন্ত ঘোষণা করেনি বিজেপি।
তবে জল্পনা চলছে, তিনি নাকি বেহালা-পশ্চিম থেকে প্রার্থী হতে পারেন। ওই জল্পনার মধ্যেই শ্রাবন্তী নিজের নাম ঘোষণা করায় দলের মধ্যে তাকে নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
বিজেপির এক নেতা বলেন, ‘শ্রাবন্তী প্রার্থী হতেই পারেন। তবে তিনি যেভাবে প্রকাশ্য জনসভায় নিজের নাম ঘোষণা করেছেন তা একেবারে অনুচিত। দল ঘোষণা করার আগে অন্য কেউ প্রার্থীর নাম বলতে পারেন না। এটা দলের নিয়ম বিরুদ্ধ কাজ।
তবে শ্রাবন্তী প্রথম নয়, এর আগে বিজেপিতে প্রার্থী হওয়ার কথা বলেছিলেন পায়েল সরকার। তিনি বেহালা পূর্ব থেকে বিজেপির প্রার্থীও হয়েছেন।
গত ১ মার্চ কলকাতা শহরের একটি তারকা হোটেলে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত থেকে পদ্ম পতাকা গ্রহণ করেন শ্রাবন্তী।
অবশ্য এর আগে তৃণমূলের একাধিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে শ্রাবন্তীকে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন এই অভিনেত্রী। ধারণা করা হচ্ছিল, তিনি তৃণমূলেই যোগ দেবেন। কিন্তু হঠাৎ করেই বিজেপিতে যোগ দেন তিনি।
তখন শ্রাবন্তী বলেছিলেন, কোনো অভিমান থেকে নয়, শুধু রাজ্যে পরিবর্তন আনার স্বার্থেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য তাকে অনুপ্রাণিত করেছে। আর সে কারণেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
69
Shares
facebook sharing buttonmessenger sharing button