আবহাওয়া অধিদপ্তর আগেই জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিমের মৌসুমী বায়ু টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনায় টানা ৫ দিন দেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। আজ শনিবার আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে দেওয়া এক পূর্বাভাসে এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তিনি বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বর্তমানে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন উপকূলে অবস্থান করছে। আগামী দুই তেকে তিন দিনের মধ্যে তা বাংলাদেশের টেকনাফ উপকূলে আসতে পারে। ৭ জুনের পর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে থাকবে দেশের দক্ষিণাংশে। পাশাপাশি একই সময়ে দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে, গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ এলাকায় অবস্থান করছে। লঘুচাপের অপর একটি বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হতে পারে।
উল্লেখ্য, আজ রাজধানীতে হঠাৎ বৃষ্টির কারণে কর্মস্থলে যাওয়া মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। ভোর থেকেই ঢাকার আকাশ ছিল মেঘলা। সকাল ৮টার দিকে শুরু হয় বৃষ্টি। এদিকে হঠাৎ বৃষ্টির কারণে ভোগান্তিতে পড়ে নগরবাসী। সব থেকে বেশি বিপাকে পড়ে কর্মস্থলে যাওয়া মানুষজন।
বৃষ্টিতে রাজধানীর তেজগাঁও, মালিবাগ, মৌচাক, শান্তিনগর, মগবাজার, মুগদা, কাজলা, শ্যামপুর, জুরাইন, ডেমরা, পোস্তগোলা, ফরিদাবাদ, মিরপুরের রোকেয়া সরণি, আজিমপুর, মানিকনগরসহ নিচু এলাকাগুলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতা তৈরি হয় রামপুরা, বাসাবো, গোড়ান, মতিঝিল, পুরানা পল্টন, হাজারীবাগ, ঝিগাতলা, নিমতলী, মিরপুর, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায়।