বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সোমবার এক কোটি ৩০ লাখ ছাড়িয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের হিসাবে, কেবল পাঁচ দিনে ১০ লাখের বেশি মানুষ ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়েছেন।
মহামারী শুরু হওয়ার পর সাড়ে ছয় মাসের মধ্যে এতে আক্রান্ত হয়ে পাঁচ লাখ ৭২ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেবরিয়াসুস বলেন, এখন পর্যন্ত যতটা জানি, আমরা ‘পুরনো স্বাভাবিকতায়’ ফিরছি না। বিশেষ করে যদি সুরক্ষা পদক্ষেপগুলোর প্রতি অবহেলা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, যদি স্পষ্টভাষায় বলতে যাই- বহু দেশ ভুল পথে অগ্রসর হয়েছে। ভাইরাসটি এখন এক নম্বর গণশত্রু হয়ে আছে।
জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান কার্যালয় থেকে ভার্চুয়াল সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, যদি মৌলিক নীতিগুলো মেনে চলা না হয়, তা হলে এই মহামারীর একমাত্র কাজ হবে সামনে এগিয়ে যাওয়া। এতে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে। কিন্তু এভাবে চলতে দেয়া যায় না।
সরকারি প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে রয়টার্সের বৈশ্বিক টালিতে জানা গেছে, দক্ষিণ আমেরিকায় প্রাদুর্ভাব দ্রুতগতিতে বাড়ছে।
বিশ্বের মোট আক্রান্ত ও মৃত্যুর অর্ধেকের বেশি হয়েছে আমেরিকায়। যুক্তরাষ্ট্রে ৩৩ লাখের বেশি মানুষ করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। দেশটিতে প্রথম দফার সংক্রমণ মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে।
অস্ট্রেলিয়ার শহর মেলবোর্ন ও ইংল্যান্ডের লিসেস্টারের মতো বিভিন্ন জায়গায় দ্বিতীয় দফায় লকডাউন বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
চীনশাসিত হংকংয়ে যদিও দেড় হাজারের মতো মানুষ করোনায় আক্রান্ত, তার পরও সেখানে কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্বের পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
তৃতীয় দফায় সংক্রমণের আতঙ্ক থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ১০ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে ৬৯ হাজার ৭০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
এটি এখন পর্যন্ত বিশ্বের কোনো দেশে একদিনে আক্রান্তের রেকর্ড। আর ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত ১৮ লাখ ৬০ হাজার মানুষ করোনায় পজিটিভ এসেছে।
আক্রান্তদের মধ্যে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বোলসোনারোও আছেন। দেশটিতে মারা গেছেন ৭২ হাজার মানুষ।
রোববার ২৪ ঘণ্টায় ফ্লোরিয়ায় ১৫ হাজার মানুষ ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়েছেন। যেটা দক্ষিণ কোরিয়ায় মোট আক্রান্ত রোগীর চেয়ে কিছুটা বেশি। সোমবারও মার্কিন অঙ্গরাজ্যটিতে ১২ হাজার ৬২৪ জনের কোভিড-১৯ পজিটিভ এসেছে।
রয়টার্স বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৪০ রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও হোয়াইট হাউস কর্মকর্তারা বলছেন, রোগটি তাদের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।
হাউস স্পিকার ন্যানসি পেলোসি সিএনএনকে বলেন, প্রেসিডেন্ট ও তার প্রশাসন আমাদের শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে টালবাহানা করছে। আমরা সবাই চাই, শিশুরা স্কুলে ফিরে যাক, কিন্তু সেটি অবশ্যই নিরাপদে যেতে হবে। সূত্র-যুগান্তর
মেপ্র/আরজেএম