কক্সবাজারে করোনায় আক্রান্ত এক যুবকের বিরুদ্ধে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য এক সুস্থ ব্যক্তিকে জড়িয়ে ধরার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার জেলার লিংকরোড স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, লকডাউন অমান্যকারী করোনা আক্রান্ত ওই রোগী (৩২) কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের পশ্চিম মুকতারকুল গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় সিএনজি চালিত ট্যাক্সি ব্যবসায়ী। তিন দিন আগে তার করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে।
ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান জানান, করোনা আক্রান্ত যুবক বেপরোয়া আচরণের সালিশ-বিচার নিয়ে আমরাও বিরক্ত হয়ে পড়েছি। তিনি লকডাউন না মেনে হরদম মোটরসাইকেল নিয়ে চলাচল করায় স্থানীয়রাও বিপাকে পড়েছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান আরো জানান, করোনা পজিটিভ হওয়ার পর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গত রবিবার তাকে নিজ ঘরে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসার পরামর্শ দেন। সেই সাথে পাড়াটিও লকডাউন ঘোষণা করা হয়। কিন্তু একদিন পরেই তিনি লকডাউন অমান্য করার কাজ শুরু করে দেন। সর্বশেষ লিংকরোড স্টেশনের এক দোকানির কাছে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। পরে তাকে আজকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, পাওনা টাকা আদায়ের কৌশল হিসাবে ওই রোগী নিজেই উত্তেজিত হয়ে দোকানিকে ঝাপটে ধরে বলেন, করোনায় আমিও মরব-তুইও মর।
এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার নাসির উদ্দিন জানান, করোনা রোগীর ‘করোনা হামলার’ খবর পেয়েই আমি এবং চেয়ারম্যান সাহেব দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। হামলার শিকার ওই ব্যক্তিকে আমরা দ্রুত সাবান নিয়ে গোসল করার ব্যবস্থা করি।
এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ উল্লাহ মারুফ জানান, তিনি খবর পেয়েছেন স্টেশনে এক করোনা রোগী লকডাউন অমান্য করে লোকজনের সাথে ঝগড়াঝাটি করছেন।
অপরদিকে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান জানিয়েছেন, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। সূত্র-বাংলাদেশ প্রতিদিন