পুকুর থেকে মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগে কোটচাঁদপুর মডেল থানায় পৃথক দুইটি মামলা করেছেন, দোড়া ইউনিয়ন (ভুমি) সহকারী কর্মকর্তা জাকির হোসেন। তবে মামলা হলেও আসামিরা রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়,কোটচাঁদপুর উপজেলার দোড়া ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নের ভোমরা ডাঙ্গা – চুয়াডাঙ্গা বাজারের পাশে হারুন অর রশিদের পুকুর ও সোয়াদি গ্রামের আনিসুর রহমানের পুকুর থেকে মাটি ব্যবসায়িরা দীর্ঘদিন ধরে মাটি কেটে বিক্রি করে আসছিল।বিষয়টি নিয়ে তাদেরকে বেশ কয়েক বার সর্তক করেন সংশ্লিষ্টরা। এরপরও তারা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করা অব্যহত রেখেছিল।
এ কারনে গেল ২১ জুলাই পুকুর থেকে মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগে কোটচাঁদপুর থানায় পৃথক দুইটি এজাহার করেন,দোড়া ইউনিয়ন (ভুমি) সহকারী কর্মকর্তা জাকির হোসেন।
ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে,তেঘরি গ্রামের পুকুর মালিক হারুন অর রশিদ,মাটি কাটার সহযোগী আব্দুর রহিম, শাহিন হোসেন, সাইফুল ইসলাম, কায়দার আলী, আব্দার আলী, সোয়াদি গ্রামের পুকুর মালিক আনিসুন রহমান, সহযোগী পারভেজ হোসেন ও মনা বিশ্বাস।
এদিকে থানায় এজাহার করার ১৪ দিন পর মামলাটি নথিভূক্ত হলেও আসামিরা রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে।
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুরের দোড়া ইউনিয়ন (ভুমি) সহকারী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন,উপজেলার ভোমরা ডাঙ্গা – চুয়াডাঙ্গা ও সোয়াদি গ্রামের পুকুর থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছিলেন ওই এলাকার প্রভাশালী মাটি ব্যবসায়িরা।
এ ব্যাপারে তাদেরকে সর্তক করা হলেও তারা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করে আসছিল।
এরপর উপজেলা নির্বাহী স্যারের নির্দেশে গেল ২১ জুলাই কোটচাঁদপুর থানায় পৃথক দুইটি এজাহার করা হয়। এদিকে এজাহার করার ১৪ দিন পর মামলা নথিভুক্ত করা হলেও আসামিরা রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে এমন অভিযোগ ইউনিয়ন (ভুমি) সহকারী কর্মকর্তার।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোছাঃ শারমিন আক্তার বলেন,মামলা হওয়ার পর দেশের পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যায়। এ কারনে মামলা নিয়ে কাজ করা সম্ভব হয়নি। তবে এখন মামলাটি নিয়ে কাজ চলমান রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার উছেন মে বলেন, মাটি কাটার বিষয়টি নিয়ে থানায় সংশ্লিষ্ট নায়েব এজাহার করেছেন। আপনারা ওসি সাহেবের সঙ্গে কথা বলেন।